শুক্রবার, ১০ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সেফ এক্সিটকে সন্দেহের চোখে দেখছে বিএনপি, বিব্রত কোনো কোনো উপদেষ্টা *** থেমেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান–কামানের গর্জন, ২ বছর পর শান্তির ঘুমে গাজাবাসী *** জামায়াতে ৪৩ শতাংশ নারী—এটা খুশির খবর, কিন্তু তাদের দেখা যায় না: শারমীন মুরশিদ *** তহবিলসংকটের কারণে এক-চতুর্থাংশ শান্তিরক্ষী কমাচ্ছে জাতিসংঘ *** খালেদা জিয়ার সেফ এক্সিটের দরকার পড়েনি: রিজভী *** পক্ষপাতের জন্য গণমাধ্যম মালিক-সম্পাদকদের ক্ষমা চাওয়া উচিত: উপদেষ্টা মাহফুজ *** শাপলা না দিলে ধানের শীষ বাতিল করতে হবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী *** শহিদুল আলমসহ নৌবহর থেকে আটক ব্যক্তিদের কারাগারে বন্দী করেছে ইসরায়েল *** সরিয়ে নেওয়া হলো এনবিআরের সদস্য সেই বেলাল চৌধুরীকে *** গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি শুরু করেছে ইসরায়েল

পক্ষপাতের জন্য গণমাধ্যম মালিক-সম্পাদকদের ক্ষমা চাওয়া উচিত: উপদেষ্টা মাহফুজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৯:২১ অপরাহ্ন, ৯ই অক্টোবর ২০২৫

#

ফাইল ছবি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ‘পক্ষপাতমূলক’ ভূমিকার জন্য গণমাধ্যম মালিক-সম্পাদকদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, অনেক বড় একটা দাগ রয়ে যাবে। যারা গণমাধ্যমের (যারা সত্য প্রকাশ করেননি) মালিক-সম্পাদক ছিলেন, তাদের অবশ্যই ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

আজ বৃহস্পতিবার (৯ই অক্টোবর) রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমে জুলাই ও তারপর’ শীর্ষক প্রকাশনা উৎসব ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

মাহফুজ আলম বলেন, ‘অভ্যুত্থানের সময়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ভূমিকা নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত। পিআইবি এটা করবে বলে আশা করি। বাজেটের বিষয় আমি দেখব। তিন-চারটা টিভি যারা জুলাইয়ে ভালো ভূমিকা রেখেছে, তাদের ধন্যবাদ এবং সাধুবাদ। আমরা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করেছি।’

অভ্যুত্থান-পরবর্তী ঘটনা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ‘৫ই আগস্টের পর আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল দেশের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়টি। তিন দিনের চাপের মধ্যে যেই সরকার গঠন করা হয়েছে, সেটার ভালো-খারাপ সবই ধীরে ধীরে প্রকাশিত হচ্ছে এবং আরও হোক। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা যেটা বলা হয়েছে এবং আমরা যখন রাষ্ট্রের দায়িত্বে থাকি, তখন আমাদের অবশ্যই বলতে হয়। কারণ, রাষ্ট্রের ফাংশন ঠিক রাখতে হয়।’

অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে যে ধরনের সহিংস পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হয়েছিল, তার ‘কিছুই হয়নি’ বলে মন্তব্য করেন তথ্য উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আসলে যে ধরনের ভায়োলেন্স হওয়ার শঙ্কা ছিল, প্রথম তিন দিনে এবং এর পরবর্তী সময়, সেটার কিছুই হয়নি। বরং ওই এক মাসের সময়টা আমি মনে করি স্বপ্নের মতো। ওই এক মাসের সময়ে বাংলাদেশ যদি আর কখনো ফিরত, তাহলে আমরা যে ভুল করেছি, সেই ভুল করতাম না বা বাংলাদেশের জনগণ আর ভুল করত না। ওই সময়ে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। এক হচ্ছে, কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নেই। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের নিরাপত্তা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেরাই নিয়েছিল।’

আলোচনা সভায় লেখক ও অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘কোনো বিপ্লব পুরোপুরি সফল হয় না, পুরোপুরি ব্যর্থও হয় না। সেকেন্ড রিপাবলিক বলাটা যেন একটা পাপ। মোটেও তা না। ভিয়েতনাম বিপ্লবের পরে, যুদ্ধের পরে তিন-চারবার সংবিধান বদলেছে। কিন্তু আমরা এখনো ’৭২ সালের সংবিধানকে পুনরুদ্ধার করার সংগ্রামে যেন দৃঢ় পায়ে দাঁড়িয়ে আছি। বাংলাদেশ যেন বঙ্গোপসাগরে পড়ে যাবে, যদি এই সংবিধান পরিবর্তন করা হয়।'

তিনি বলেন, 'সংবিধান তো পরিবর্তিত হয়ে গেছে। কিন্তু আরেকটা নতুন সংবিধান নিতে আপনি এতই ভয় পাচ্ছেন যে আপনি সংশোধনের কথা বলছেন। আপনি ওটাকে পুনরুদ্ধারের কথা বলছেন। তাহলে কয়দিন পর বাংলাদেশকে রাজতন্ত্র ঘোষণা করলে আমি বিস্মিত হব না।’ বর্তমানে বহুল আলোচিত ‘সেইফ এক্সিটের’ প্রসঙ্গে তুলে তিনি বলেন, ‘সেইফ এক্সিট আর নেই কারও।’

মাহফুজ আলম

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250