শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হঠাৎ আগুন লাগলে যা করবেন, যা করবেন না

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:৩৫ অপরাহ্ন, ৩রা মার্চ ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর বলছে, অগ্নিকাণ্ডের প্রধান কারণই অসাবধানতা। আর সচেতন হলেই সম্ভব অগ্নিকাণ্ড মোকবিলা করা। 

অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে যেসব সতর্কতা জরুরি

১. বাসা–বাড়িতে বা বাণিজ্যিক কোনো জায়গায় রান্নার পর অবশ্যই গ্যাসের চুলা বন্ধ করতে হবে। সেক্ষেত্রে ফুঁ দিয়ে চুলা না নিভিয়ে গ্যাসের চাবি বন্ধ করতে হবে। 

২. বাসায় ছোট বাচ্চাদের হাতের কাছ থেকে দিয়াশলাই দূরে রাখুন। তাদের আগুন নিয়ে খেলা থেকে বিরত রাখুন।

৩. আগুনে সহায়ক, এমন স্থানে মোমবাতি বা কুপি এবং খোলা বৈদ্যুতিক সংযোগ যেন না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। খুব দরকার হলে সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করুন। কখনই মোমবাতি বা কুপি জ্বালিয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন না।

৪. গ্যাসের চুলা জ্বালানোর আগে অবশ্যই রান্না ঘরের দরজা-জানালা খুলে নিন। 

৫. নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ লাগানোর সময় নিম্নমানের পণ্য লাগানো থেকে বিরত থাকুন। দক্ষ বৈদ্যুতিক মিস্ত্রির সহায়তা নিন।

৬. বাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি নিরাপত্তার জন্য অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র রাখুন। সেটা সম্ভব না হলে দুই বালতি পানি বা বালু মজুত রাখুন। অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র রাখলে তা নিয়মিত পরীক্ষা করুন।

৭. বাসা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক সংযোগের মেইন সুইচ খোলা জায়গায় রাখুন। যাতে করে আগুনের ঘটনা ঘটলে বাধাহীনভাবে মেইন সুইচ বন্ধ করা যায়।

৮. বৈদ্যুতিক সুইচ বা মাল্টিপ্লাগের আশপাশে কাগজপত্র বা এ ধরনের জিনিস রাখবেন না। টিভি, ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, মোবাইল ফোন চার্জার ইত্যাদি বৈদ্যুতিক প্লাগে লাগিয়ে রেখে দেবেন না। কাজ শেষ হলে সুইচ বন্ধ করে প্লাগ থেকে খুলে রাখুন।

আরো পড়ুন : বসন্তের পলাশ : পাখিদের মতো মানুষও প্রেমে পড়ে তার!

আগুন লাগলে যা করবেন

১. সাবধানতা অবলম্বন করার পরও আগুন লেগে যেতে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে কোথা থেকে আগুন লেগেছে তা বুঝতে চেষ্টা করুন। অল্প আগুন হলে অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র ব্যবহার করে নিভিয়ে ফেলুন। পাশের ফায়ার সার্ভিসে খবর দিন। প্রয়োজনে জরুরি পরিষেবা ৯৯৯-এ কল করুন। 

২. আগুন লাগলে আগে প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করুন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থল দ্রুত ত্যাগ করুন। যদি আগুন বেশি হয় তাহলে ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিচু হয়ে বা হামাগুড়ি দিয়ে অথবা গড়াতে গড়াতে বের হতে হবে। মুখ সম্পূর্ণ ঢেকে ধোঁয়ার নীচ দিয়ে বের হয়ে আসতে হবে।

৩. রান্না ঘরে আগুন লাগলে দ্রুত গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করুন। 

৪. সিঁড়িঘরে ধোঁয়া দেখতে পেলে কখনও ওপরে উঠবেন না। বরং খোলা বারান্দা বা জানালার কাছে গিয়ে বাইরের মানুষের সহায়তা চান। 

৫. ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন পথ পরিহার করুন। ধোঁয়া ওপরে ওঠে বলে নিচের বাতাসে অক্সিজেন বেশি থাকে।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া শাখার কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার বলেন, বহুতল ভবনগুলোতে অবশ্যই ইমার্জেন্সি এক্সিট (নিরাপদে ভবন থেকে বের হওয়ার বিকল্প পথ) থাকতে হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থার পাশাপাশি থাকতে হবে বহনযোগ্য অগ্নিনির্বাপণী যন্ত্র। আগুনের সময় কোনোভাবেই লিফট ব্যবহার করা যাবে না। ধোঁয়া থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে।

শাহজাহান শিকদার বলেন, ভেজা রুমাল বা কাপড় নাকে–মুখে পেঁচিয়ে ভবন থেকে বের হওয়ার রাস্তা খুঁজতে হবে। আশপাশে কাঁচের জানালা, দরজা থাকলে তা ভেঙে বাতাস চলাচলের উপযোগী করে নিতে হবে। এতে করে ধোঁয়া বাইরে চলে যাবে। আগুনের ঘটনা ঘটলে দ্রুত কাছের ফায়ার সার্ভিস বা জরুরি সেবা নম্বরে কল দেওয়ারও আহ্বান জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।

এস/ আই.কে.জে/

আগুন সতকর্তা

খবরটি শেয়ার করুন