ছবি: সংগৃহীত
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে দেশের ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সবার চোখ এখন ৮৭ উপজেলার নির্বাচনের দিকে।
বুধবার (২৯শে মে) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে ইতোমধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে এক লাখ ৪০ হাজার ৮৬১ জন সদস্য মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। এছাড়া সারাদেশে ৩০০ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮শে মে) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, এক শতাংশ ভোট পড়লেও কোনো অসুবিধা নেই। ভোটার যা আসবে তাই। আমাদের কঠোর নির্দেশ যে ভোটার যদি একজন আসেন একজনই দেখাতে হবে। ৫০ জন আসলে ৫০ জনই দেখাতে হবে। কেউ যদি বেশি দেখায় আমরা তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
ইসি জানায়, এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে সোমবার ১৯টি এবং মঙ্গলবার ৩টি উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে কমিশন। ফলে বুধবার ৮৭টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
আরো পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালে ১৯ উপজেলার ভোট স্থগিত
স্থগিত হওয়া উপজেলাগুলো হলো— বাগেরহাটের শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, খুলনা জেলার কয়রা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালী সদর, দুমকী, মির্জাগঞ্জ, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভোলার তজুমদ্দিন, লালমোহন, ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঠালিয়া, বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা এবং রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা, নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী এবং চাঁদপুর জেলার কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া খালিয়াজুরী উপজেলায় সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন ঘটা এবং কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ইভিএমের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
এই ধাপে মোট ১ হাজার ১৫২ জন প্রার্থী রয়েছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৯৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৫৬ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ধাপে চেয়ারম্যান পদে ১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৪ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন; অর্থাৎ মোট ১২ জন প্রার্থী ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এসি/
খবরটি শেয়ার করুন