রবিবার, ১৯শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩রা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নাশকতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেলে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে: সরকারের বিবৃতি *** তারেক রহমানের বিবিসির সাক্ষাৎকারে ৮০ ভাগ নেটিজেনের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া *** ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তপশিল: সিইসি *** ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে এনসিপি *** চীন সরকারের ব্যাপক শুদ্ধি অভিযান, শীর্ষস্থানীয় ৯ জেনারেল বরখাস্ত *** ঢাকামুখী ৮ ফ্লাইট গেল চট্টগ্রাম ও কলকাতায় *** জুলাই সনদে কাল স্বাক্ষর করবে গণফোরাম *** যারা বলেন এবার ‘জামায়াতের শাসন দেখি’, তাদের উদ্দেশ্যে যা বললেন আনু মুহাম্মদ *** ‘রক্ত দিতে হলে সামনের সারিতে, ক্ষমতার প্রশ্নে খুঁজে পাওয়া যাবে না’ *** ‘দোসর’ বলার জন্য বিএনপির সালাহউদ্দিনকে ক্ষমা চাইতে হবে: নাহিদ

‘দুই নেতার বৈঠকের পর সম্পর্কের বরফ কতটা গলছে’

বিশেষ প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৬:৩৫ অপরাহ্ন, ৫ই এপ্রিল ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ব্যাংককে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন ৪ঠা এপ্রিল। গত বছরের ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের আট মাস পর নিকটতম প্রতিবেশী দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কূটনৈতিক প্রেক্ষাপটে এ বৈঠককে ‘ইতিবাচক ও গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। 

তাদের মতে, এ বৈঠকের ফলে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করলেও বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুরাহার ক্ষেত্রে সন্দেহ রয়ে গেছে। তবে দুই দেশের সম্পর্কে শীতলতা কাটানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ বৈঠকে বরফ পুরোপুরি না গললেও কূটনীতির স্থবির অবস্থা চলমান পর্যায়ে নিতে সহযোগিতা করবে। অন্তর্বর্তী সরকারের আট মাস পর হলেও বাংলাদেশ তার উদ্বেগগুলো সামনাসামনি ভারতের শীর্ষ মহলে প্রথমবার জানাতে পেরেছে বৈঠকের মাধ্যমে। সম্পর্ক উন্নয়নে ভারতকে বাংলাদেশের স্পষ্ট অবস্থানও জানানো হয়েছে বৈঠকে।

বিশ্লেষকদের কথায় স্পষ্ট, অস্বস্তিকে পাশ কাটিয়ে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক, বা অস্বস্তি পুষে রেখেই 'ওয়ার্কিং রিলেশন' বা কাজের সম্পর্ক স্থাপন যাই হোক না কেন, বাংলাদেশ ও ভারতের পথচলা শুরু হয়ে গেছে ব্যাংককের ওই বৈঠক থেকে।

আমেরিকায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির মনে করেন, ‘বাংলাদেশ একটু নতুন বাস্তবতায় নিজেদের তৈরি করার চেষ্টা করছে। ফলে প্রতিবেশী, বন্ধু ও সহযোগী- সবার সঙ্গে নতুন করে আন্ডারস্ট্যান্ডিং দাঁড় করানোর ব্যাপারে তারা আন্তরিক। নতুন সম্ভাবনায় সহযোগীদের তারা পাশে পেতে চায়।’

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠক প্রসঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবিব বলেন, ‘দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ে পারস্পরিক আলোচনা হলে কূটনৈতিক সম্পর্কে এক ধরনের দায়বদ্ধতা তৈরি হয়। যদিও বৈঠকে তারা (ড. ইউনূস ও মোদি) আগের বক্তব্যের পুনরুল্লেখ করেছেন মোটা দাগে। তারপরও একটা কমন (সাধারণ) জায়গা তৈরি করতে হবে। দুই পক্ষই কিছু কিছু ছাড় দিলে আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে পৌঁছানো সম্ভব।’

এইচ.এস/


এম হুমায়ুন কবির

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250