শনিবার, ১১ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** শনিবার ভোরে দেশে ফিরছেন শহিদুল আলম *** ইসরায়েল থেকে মুক্ত শহিদুল আলম এখন তুরস্কে *** স্বামী নিখোঁজের পর দেবরের সঙ্গে বিয়ে, পরের দিনই হাজির স্বামী! *** সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর শরৎ উৎসব স্থগিত নিয়ে যা জানাল চারুকলা অনুষদ *** গাজায় যুদ্ধবিরতি ‘কার্যকর’, নিজ এলাকায় ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা, সরছেন ইসরায়েলি সেনারা *** ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কার না পাওয়ায় যা বলছে হোয়াইট হাউস *** তালেবানের সঙ্গে বৈঠকের পর কাবুলে পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস চালুর ঘোষণা দিল্লির *** গুমের ঘটনায় ২৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ন্যায়বিচারের পথে অগ্রগতি: এইচআরডব্লিউ *** শেখ হাসিনাসহ দুই ডজন নেতা ভোটে অযোগ্য হচ্ছেন *** ইসরায়েলি কারাগার থেকে ইস্তাম্বুলের পথে শহিদুল আলম

২০৩০ সাল নাগাদ ৪৫ শতাংশ নারীই থাকবেন অবিবাহিতা!

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২৪

#

প্রতীকী ছবি

বর্তমানে বেশিরভাগ নারী সংসার করার পরিবর্তে ক্যারিয়ারের দিকে বেশি ফোকাস করছেন। বেশিরভাগ নারীর জন্যই বিবাহিত জীবন এখন আর একমাত্র কাম্য নয়। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা, স্বাধীন জীবনযাপন করা, নিজের স্বপ্ন পূরণ করাই এখন নারীদের প্রাথমিক লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই লক্ষ্য নতুন এই প্রজন্মকে অন্যদিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে। এমনকি ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশ নারীই অবিবাহিত থাকবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সম্প্রতি, মরগান স্ট্যানলি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। সাম্প্রতিক এই সমীক্ষা অনুসারে, ২০৩০ সালের মধ্যে, ২৫ বছর থেকে ৪৪ বছর বয়সী প্রায় ৪৫ শতাংশ নারীই নিঃসন্তান এবং অবিবাহিত হয়ে জীবন কাটাবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর আগেও মেয়েরা একা থেকেছেন। কিন্তু সেই সংখ্যা ছিল অনেকাংশে কম।

মেয়েরা কেন অবিবাহিত থাকতে চাইছেন

আগের প্রজন্মের মহিলাদের ক্ষেত্রে বিয়ে করা ছিল সাধারণ একটি ব্যাপার। বিয়ের বয়স হলে বিয়ের স্বপ্ন দেখতেন মেয়েরা। শ্বশুরবাড়ি গিয়ে সংসার সামলাতেন। কিন্তু এখন বিষয়টা পুরো উল্টো। মেয়েরা এই মুহূর্তে নিজেদের সমৃদ্ধির দিকেই ঝুঁকছেন। তার কারণ একটাই, অবিবাহিত স্ট্যাটাসটি মেয়েদের জন্য এখন আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। এর প্রবণতা এতটাই বাড়ছে যে অনেক মহিলারাই বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পর, পুনরায় বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ৩০-৪০ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে আবার ডিভোর্স দেওয়ার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে।

আরো পড়ুন : ঘুরতে গেলে হাই হিল পরতে পারবেন না যে দেশে

মা হতেও এখন দু'বার ভাবছেন মেয়েরা

অতীতে মহিলারা ২০ বছরে পড়তে না পড়তেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতেন। মা হওয়ার প্রবণতা দেখা যেত তাদের মধ্যে। কিন্তু এখন, মহিলারা সন্তান ধারণের বিষয়ে দু'বার ভাবছেন। আদৌ মা হতে চান কিনা, সে বিষয়টা পুনর্বিবেচনা করছেন। তারা মূলত, মা হওয়ার আগে পরিবার সামলানোর চাপ, ক্যারিয়ারে আর সুযোগ আসবে কিনা এবং বাচ্চাদের লালন-পালন করতে বিপুল খরচ হবে, এই সম্পর্কে চিন্তা করছেন। আজ অধিকাংশ মহিলাই তাদের পরিবারের মাথা। আর্থিক দিকটা সামলানো তাদেরই দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আর্থিক স্বাধীনতার মধ্যে মহিলারা নিজেদের সুখ খুঁজে পাচ্ছেন। তাই ক্যারিয়ারে আরও বেশি করে মনোযোগ দিতে চাইছেন।

নারীদের এই মনোভাব অর্থনীতি ও কর্মক্ষেত্রে কীভাবে প্রভাব ফেলবে

অবিবাহিত, নিঃসন্তান মহিলাদের সংখ্যা যত বাড়বে, তা অর্থনীতিতে আরও বড় প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যে মহিলারা বিয়ে এবং সন্তান ধারণ করতে দেরি করবেন বা এড়িয়ে যাবেন, তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা বেশি থাকবে। এইভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে বিয়ে নিয়ে এবং সন্তান ধারণ করার বিষয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হতে পারে। সন্তানের যত্নের ক্ষেত্রে, কাজের সময় কমিয়ে দেওয়া এবং নারী ও পুরুষের বেতন সমানে সমানে নিয়ে আসা, এই বিষয়গুলো আরও গুরুত্ব পেতে পারে৷ এই পরিবর্তনগুলি লিঙ্গ বৈষম্যের ব্যবধান কমাতে সাহায্য করতে পারে।

এস/ আই.কে.জে/

কেরিয়ার মহিলা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250