বুধবার, ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৩রা আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা : ধারা অনুযায়ী যা যা করতে পারবে সেনাবাহিনী *** ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী *** অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না : তারেক রহমান *** ৪৩তম বিসিএস : স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও গোয়েন্দা প্রতিবেদনের পরই নিয়োগ *** নিহত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, আশুলিয়ায় শনিবার থেকে বন্ধ কারখানা চালু *** ঢাকায় একদিনে ট্রাফিক আইনে ১৫২ মামলা, জরিমানা ৭ লাখ টাকা *** সাবেক রেলমন্ত্রীকে রিমান্ডে পাঠানোর পর আদেশ স্থগিত *** কোন স্ট্যাটাসে দিল্লিতে শেখ হাসিনা, জানে না অন্তর্বর্তী সরকার *** বাংলাদেশকে আরও ২ বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক *** জীবিকা সংকটে শান্তিপ্রিয় খুমিরা || দরকার বিত্তবানদের সহযোগিতা

২০৩০ সাল নাগাদ ৪৫ শতাংশ নারীই থাকবেন অবিবাহিতা!

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২৪

#

প্রতীকী ছবি

বর্তমানে বেশিরভাগ নারী সংসার করার পরিবর্তে ক্যারিয়ারের দিকে বেশি ফোকাস করছেন। বেশিরভাগ নারীর জন্যই বিবাহিত জীবন এখন আর একমাত্র কাম্য নয়। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা, স্বাধীন জীবনযাপন করা, নিজের স্বপ্ন পূরণ করাই এখন নারীদের প্রাথমিক লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই লক্ষ্য নতুন এই প্রজন্মকে অন্যদিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে। এমনকি ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশ নারীই অবিবাহিত থাকবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সম্প্রতি, মরগান স্ট্যানলি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। সাম্প্রতিক এই সমীক্ষা অনুসারে, ২০৩০ সালের মধ্যে, ২৫ বছর থেকে ৪৪ বছর বয়সী প্রায় ৪৫ শতাংশ নারীই নিঃসন্তান এবং অবিবাহিত হয়ে জীবন কাটাবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর আগেও মেয়েরা একা থেকেছেন। কিন্তু সেই সংখ্যা ছিল অনেকাংশে কম।

মেয়েরা কেন অবিবাহিত থাকতে চাইছেন

আগের প্রজন্মের মহিলাদের ক্ষেত্রে বিয়ে করা ছিল সাধারণ একটি ব্যাপার। বিয়ের বয়স হলে বিয়ের স্বপ্ন দেখতেন মেয়েরা। শ্বশুরবাড়ি গিয়ে সংসার সামলাতেন। কিন্তু এখন বিষয়টা পুরো উল্টো। মেয়েরা এই মুহূর্তে নিজেদের সমৃদ্ধির দিকেই ঝুঁকছেন। তার কারণ একটাই, অবিবাহিত স্ট্যাটাসটি মেয়েদের জন্য এখন আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। এর প্রবণতা এতটাই বাড়ছে যে অনেক মহিলারাই বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পর, পুনরায় বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ৩০-৪০ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে আবার ডিভোর্স দেওয়ার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে।

আরো পড়ুন : ঘুরতে গেলে হাই হিল পরতে পারবেন না যে দেশে

মা হতেও এখন দু'বার ভাবছেন মেয়েরা

অতীতে মহিলারা ২০ বছরে পড়তে না পড়তেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতেন। মা হওয়ার প্রবণতা দেখা যেত তাদের মধ্যে। কিন্তু এখন, মহিলারা সন্তান ধারণের বিষয়ে দু'বার ভাবছেন। আদৌ মা হতে চান কিনা, সে বিষয়টা পুনর্বিবেচনা করছেন। তারা মূলত, মা হওয়ার আগে পরিবার সামলানোর চাপ, ক্যারিয়ারে আর সুযোগ আসবে কিনা এবং বাচ্চাদের লালন-পালন করতে বিপুল খরচ হবে, এই সম্পর্কে চিন্তা করছেন। আজ অধিকাংশ মহিলাই তাদের পরিবারের মাথা। আর্থিক দিকটা সামলানো তাদেরই দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আর্থিক স্বাধীনতার মধ্যে মহিলারা নিজেদের সুখ খুঁজে পাচ্ছেন। তাই ক্যারিয়ারে আরও বেশি করে মনোযোগ দিতে চাইছেন।

নারীদের এই মনোভাব অর্থনীতি ও কর্মক্ষেত্রে কীভাবে প্রভাব ফেলবে

অবিবাহিত, নিঃসন্তান মহিলাদের সংখ্যা যত বাড়বে, তা অর্থনীতিতে আরও বড় প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যে মহিলারা বিয়ে এবং সন্তান ধারণ করতে দেরি করবেন বা এড়িয়ে যাবেন, তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা বেশি থাকবে। এইভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে বিয়ে নিয়ে এবং সন্তান ধারণ করার বিষয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হতে পারে। সন্তানের যত্নের ক্ষেত্রে, কাজের সময় কমিয়ে দেওয়া এবং নারী ও পুরুষের বেতন সমানে সমানে নিয়ে আসা, এই বিষয়গুলো আরও গুরুত্ব পেতে পারে৷ এই পরিবর্তনগুলি লিঙ্গ বৈষম্যের ব্যবধান কমাতে সাহায্য করতে পারে।

এস/ আই.কে.জে/

কেরিয়ার মহিলা

খবরটি শেয়ার করুন