ছবি: সংগৃহীত
ঘূর্ণিঝড় রিমাল পরবর্তী ভারি বর্ষণে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ সামান্য বাড়ায় কাপ্তাই কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র (কপাবিকে) এর বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
আগে পানির অভাবে কেবল ১টি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হলেও এখন ২টি ইউনিট একসঙ্গে চালু রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে মাত্র একটি ইউনিট চালু রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছিল। দৈনিক কেবল ২৫ থেকে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হতো।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেবে বুলগেরিয়া, সহজ হয়েছে ভিসা আইন
তবে সর্বশেষ শুক্রবার (৩১শে মে) প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত বুধবার (২৯শে মে) থেকে এখন পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ২টি ইউনিট চালু করা হয়েছে। তার মধ্যে ১নং ইউনিট থেকে ৩০ মেগাওয়াট এবং ২নং ইউনিট হতে ২৫ মেগাওয়াটসহ সর্বমোট ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের গণমাধ্যমকে জানান, কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও বাড়বে। তবে কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ার জন্য আরও ভারি বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন বলে তিনি জানান।
এদিকে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে পানি থাকার কথা ৭৬ দশমিক ৪০ এমএসএল (মীনস সি লেভেল), তবে বর্তমানে পানি আছে ৭৮ দশমিক ৫৫ এমএসএল (বৃহস্পতিবার পর্যন্ত)। অর্থাৎ বর্তমানে প্রায় ১ দশমিক ৭৫ এমএসএল পানি বেশি রয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশে সবচেয়ে কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয় একমাত্র কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে। যেখানে ৫টি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে।
এইচআ/ আই.কে.জে