ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাতে ভিক্ষুকের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। রমজান মাস শুরু হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মৌসুমি ভিক্ষুক ঢাকায় এসেছেন। আর্থিক সচ্ছলতার উদ্দেশ্যে নগর ও শহরকেন্দ্রিক ভিক্ষা করা তাদের কাছে রীতিমতো 'পেশা' হয়ে দাঁড়িয়েছে!
এ 'পেশায়' পুঁজি লাগে না এবং হাত পাতলেই মানুষের কাছে টাকা-পয়সা পাওয়া যায় বলে অনেকে এ ধরনের আয়ের দিকে ঝুঁকে থাকেন। ঈদের মতো বড় ধর্মীয় উৎসব কেন্দ্র করে ঢাকার বিভিন্ন অলিগলিতে মৌসুমি ভিক্ষুকদের আনাগোনা অতিরিক্ত মাত্রায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবারও।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সাধারণত বেশি দান-খয়রাত করেন ও জাকাত-ফিতরা দেন সচ্ছল ও ধনী ব্যক্তিরা। এসব সংগ্রহে রাজধানীতে বেড়ে যায় মৌসুমি ভিক্ষুক। রমজানের শুরু থেকে এ সংখ্যা বাড়তে থাকে।
ঢাকার প্রধান সড়কসহ অলিগলি, ফুটপাত, ট্র্যাফিক সিগন্যাল, বিপণি-বিতান, রেস্তোরাঁ, বাস টার্মিনাল, অফিস পাড়া, মসজিদ-মাজার ও কবরস্থান, এমনকি বাসা-বাড়িতেও তারা ভিক্ষা করছেন।
রমজান এলেই রাজধানীতে থাকা বিভিন্ন স্বল্প আয়ের মানুষ তাদের আত্মীয়দের খণ্ডকালীন ভিক্ষাবৃত্তির জন্য ঢাকায় নিয়ে আসেন। অনেকে রমজান মাসে বাসা ভাড়া নিয়ে বা আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে রাজধানীতে ভিক্ষা করেন।
ঢাকার বাইরে থেকে আসা বেশিরভাগ ভিক্ষুকের লক্ষ্য থাকে অভিজাত এলাকা এবং এর আশপাশের ট্র্যাফিক সিগন্যাল। এছাড়া স্থানীয় ছোট-বড় মার্কেট ও মসজিদের সামনেও তারা নিয়মিত ভিড় করেন। সড়কে চলার পথে তারা জাকাত-ফিতরা ও রমজানে দান-খয়রাতে সওয়াবের পরিমাণ বেশি উল্লেখ করে পথচারী, বিশেষ করে মুসলমানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ঢাকার অনেক রিকশাচালকও গ্রাম থেকে রোজার সময় স্ত্রী, স্বজনদের রাজধানীতে নিয়ে আসেন ভিক্ষা করাতে। ভিক্ষাবৃত্তি তাদের ব্যবসা। আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় থাকেন, আবার অনেকে ভিক্ষা করতে একসঙ্গে আসা কয়েকজন মিলেও একমাসের জন্য ঘর ভাড়া নেন।
রমজান মাস মুসলমানদের সিয়াম সাধনার। সঙ্গত কারণেই তাদের মন-মানসিকতা এ সময় একটু বেশিই উদার থাকে। সেজন্য তারা সাধ্যমতো কম-বেশি দান-খয়রাত করেন।
বিষয়টিকে সুযোগ মনে করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নিম্নবিত্ত একশ্রেণির মানুষ 'বিনা পুঁজিতে স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায়' রাজধানীতে ভিক্ষা করতে আসেন। এটা নতুন নয়, প্রতি বছরই ঈদ কেন্দ্র করে রমজান মাস শুরু হওয়ার পর থেকে মৌসুমি ভিক্ষুকদের আনাগোনা বাড়ে।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন