রবিবার, ২০শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ব্রহ্মপুত্রের উজানে চীনের বাঁধ নির্মাণ শুরু, ভারত-বাংলাদেশের উদ্বেগ *** তারেক রহমানের কথামতো জামায়াতের আমিরকে দেখতে এসেছি: মির্জা ফখরুল *** ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কাও ঢাকায় এসিসির সভা বর্জন করল *** গোপালগঞ্জে স্বাভাবিক হচ্ছে জীবন, কাটছে আতঙ্ক *** বাসায় ফিরেছেন অভিনেত্রী প্রসূন আজাদের বাবা *** রাজনৈতিক দলকে সেনাবাহিনীর বাস সরবরাহের দাবি নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিল আইএসপিআর *** শ্রীলঙ্কাকে ৫ গোলে হারিয়ে শিরোপার আরও কাছে বাংলাদেশ *** অন্তর্বর্তী সরকার কী আদৌ নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে, প্রশ্ন তারেক রহমানের *** তৃতীয় লিঙ্গের নেহা নামে ভারতে দুই দশক, তিনি ‘বাংলাদেশের আব্দুল’ *** আমি বর্তমানেই আছি, আপনারা নেই: সাংবাদিকদের লিটন

তৃতীয় লিঙ্গের নেহা নামে ভারতে দুই দশক, তিনি ‘বাংলাদেশের আব্দুল’

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, ১৯শে জুলাই ২০২৫

#

ভারতীয় পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আব্দুল কালাম ওরফে নেহা ১০ বছর বয়সে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। ছবি: এনডিটিভির সৌজন্য

অবৈধ অভিবাসন ও পরিচয় জালিয়াতির একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের মধ্যপ্রদেশে এক বাংলাদেশি নাগরিককে আটকের দাবি করেছ ভোপাল পুলিশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আব্দুল কালাম নামের এ ব্যক্তি গত আট বছর ধরে ভোপালের বুধওয়ারা এলাকায় ‘নেহা’ নামে একজন তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য (হিজড়া) পরিচয়ে বাস করছিলেন।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আব্দুল কালাম ওরফে নেহা ১০ বছর বয়সে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। প্রায় দুই দশক মুম্বাইয়ে কাটানোর পর তিনি ভোপালে থিতু হন। পুলিশের অভিযোগ, তিনি তৃতীয় লিঙ্গের পরিচয় ধারণ করে স্থানীয় হিজড়া সম্প্রদায়ের সক্রিয় সদস্য হয়েছিলেন। পরবর্তীতে স্থানীয় দালালদের সহায়তায় ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে আধার কার্ড, রেশন কার্ড এবং এমনকি একটি পাসপোর্টও জোগাড় করেন।

পুলিশের তদন্তে আরও জানা যায়, আব্দুল শুধু ভুয়া পরিচয়ে বসবাস করেননি, তিনি একটি জাল ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশেও ভ্রমণ করেছেন। বুধওয়ারা এলাকায় তিনি বেশ কয়েকবার বাসা পরিবর্তন করেছেন এবং সবাই তাকে ‘নেহা’ নামেই চিনত। তিনি জৈবিকভাবে তৃতীয় লিঙ্গের কী না বা নিজেকে আড়াল করতে এ পরিচয় ব্যবহার করেছেন কী না, তা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের সহায়তায় তার লিঙ্গ যাচাই করা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালাম মহারাষ্ট্রেও তৃতীয় লিঙ্গের কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন। তার ছদ্মবেশ একটি বৃহত্তর নেটওয়ার্কের অংশ কী না, সেই প্রশ্নও তৈরি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে, তৃতীয় লিঙ্গের অন্যান্য সদস্যরা এ জালিয়াতিতে জড়িত ছিলেন কী না।

আব্দুলকে ভুয়া পরিচয়পত্র পেতে সাহায্যকারী দুই স্থানীয় যুবককে বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তকারীরা সন্দেহ করছেন, এর পেছনে অবৈধ অভিবাসন ও নথি জালিয়াতির একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক জড়িত থাকতে পারে। আব্দুল কালামের মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড এবং চ্যাটগুলো সূত্র সন্ধানের জন্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আব্দুল কালামকে ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীনে ৩০ দিনের জন্য আটক করা হয়েছে। অতিরিক্ত ডিসিপি শালিনী দীক্ষিত বলেন, ‘তিনি গত ৮-১০ বছর ধরে ভোপালে বসবাস করছেন। এর আগে তিনি মহারাষ্ট্রে ছিলেন। আমরা একটি সূত্রের মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিচয় শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া শুরু করি। তিনি এর মধ্যে বাংলাদেশেও ভ্রমণ করেছেন। আমরা সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো থেকে রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি।’

তৃতীয় লিঙ্গ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন