ছবি: সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের নয়টি দানবাক্স খুলে ২৭ বস্তা টাকা, স্বর্ণের গহনার পাশাপাশি একটি চিঠিও মিলেছে। চিঠিতে একটি মেয়েকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে আল্লাহর রহমত কামনা করা হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা ঠিকানা অনুযায়ী, ওই তরুণের নাম সাইফুল ইসলাম, বাড়ি হবিগঞ্জ জেলায়।
চিঠিতে লেখা রয়েছে, “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসি। কিন্তু মেয়েটা আমাকে ভালোবাসে না। আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যে আল্লাহ তাকে যেন আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে কবুল করেন। মেয়েটার নাম মোছা. পারভীন আক্তার ও আমার নাম সাইফুল ইসলাম। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমাদেরকে কবুল করেন।”
আরেকটি চিরকুটে লেখা, “আল্লাহ আমি যেন একটা মানসম্মত নম্বর পাই। একটা ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারি। আমার মাথার সব খারাপ চিন্তা যেন দূর হয়ে যায়। আল্লাহ আমার মা-বাবারে ভালো রাখেন। আমি যেন রফিকুল ইসলাম কলেজে ভর্তি হতে পারি।”
আরো পড়ুন : ঘরে বসে টেলিস্কোপ বানালো দশম শ্রেণির ছাত্র
এর আগে ২০২২ সালের ১লা অক্টোবর এক মা তার প্রতিবন্ধী মেয়ের সুস্থতা কামনা করে মসজিদের দানবাক্সে একটি চিঠি লিখেছিলেন। সন্তানের সুস্থতা চেয়ে চিঠিতে মা লিখেছিলেন, “পাগলা বাবার মসজিদে আর্জি দিচ্ছি যে, আমার মেয়ে প্রতিবন্ধী। আপনার উছিলায় যাতে আমার মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া ভালো হয়ে যায়। আমি আপনার দরবারে একটি ছাগল দেব। আমার আর্জি কবুল করেন।”
এদিকে, কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের নয়টি দানবাক্স প্রতি তিন মাস পর পর খোলা হয়। রমজানের কারণে শনিবার (২০শে এপ্রিল) খোলা হয়েছে ৪ মাস ১০ দিন পর। দানবাক্স খুলে পাওয়া ২৭ বস্তা টাকা গুনে মিলেছে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা, যা মসজিদের ইতিহাসে রেকর্ড।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মোমতাজসহ ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে ৭০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী, পাগলা মসজিদ ও মাদ্রাসার ৩৪ জন শিক্ষক এবং ১০২ জন ছাত্র টাকা গোনা শুরু করেন। টাকা গুনে শেষ করতে সময় লাগে টানা ১৪ ঘণ্টা।
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন