ছবি : সংগৃহীত
ঠান্ডায় বড়রা যতটা সম্ভব গরম কাপড়ে মুড়ে থাকার চেষ্টা করেন শীত থেকে রক্ষা পেতে। তবে ছোটরা যেন শীতকে উপভোগ করতেই পছন্দ করে!
গরম কাপড় পরানো হলে হয়তো শরীর ঘামতে থাকে, আবার কোনো কোনো ক্ষুদেকে গায়ে গরম কাপড়, মাথায় টুপি কিংবা পায়ে মোজা পরানো কষ্টকর হয়ে যায়। আর এসব কারণেই শিশুরা এ সময় বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এছাড়া শীতে জীবাণুর বিস্তার বেড়ে যাওয়ার কারণে স্কুলগামী শিশুরা সহজেই ফ্লুসহ বিভিন্ন রোগে সহজেই আক্রান্ত হয়।
তাই অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে, না হলে বড়সড় সমস্যা হতে পারে। চলুন জেনে নিন শীতে কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ে, আর সেগুলোর সমাধানে কী করবেন-
ঠান্ডা ও ফ্লু
বেশিরভাগ শিশুরাই শীতে ঠান্ডা ও ফ্লুতে আক্রান্ত হয়। এটি প্রতিরোধে ঘন ঘন হাত ধোয়াতে উৎসাহিত করুন শিশুকে।
এর পাশাপাশি ভিটামিন সমৃদ্ধ সুষম খাবার খেতে দিন। আপনার শিশু যেন পর্যাপ্ত ঘুমায় তা নিশ্চিত করুন। কাশি বা হাঁচির সময় তাদের মুখ ও নাক ঢেকে রাখতে শেখান।
আরো পড়ুন : মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে যা খাবেন
শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ
শ্বাসকষ্টসহ শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন সংক্রমণ শীতে বেড়ে যায়। আর শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেহেতু কম, তাই তাদের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
এই সমস্যা প্রতিরোধে শিশুকে উষ্ণ রাখুন। বিশেষ করে বাইরে বের হওয়ার সময় শিশুকে পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরান। এছাড়া তাদেরকে পর্যাপ্ত পানি পান করান। আর ধোঁয়া বা অন্যান্য পরিবেশগত দূষণকারীর সংস্পর্শে এড়ান।
নরোভাইরাস (পেটের ফ্লু)
শীতে ডায়রিয়া-হজমের বিভিন্ন সমস্যায় ভোগে অনেক শিশুরাই। এই সমস্যা প্রতিরোধে শিশু সঠিকভাবে হাত পরিচ্ছন্ন রাখছে কি না তা নিশ্চিত করুন।
বিশেষ করে খাবারের আগে ও টয়লেট ব্যবহার পর শিশুকে ৩০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। অন্যদের সঙ্গে খাবার পাত্র বা পানীয় শেয়ার করা এড়াতে শেখান সন্তানকে।
স্ট্রেপ থ্রোট
টনসিল ইনফেকশনসহ গলা ব্যথার সমস্যাও শীতে সাধারণ একটি রোগ শিশুদের মধ্যে। এই সমস্যা প্রতিরোধেও নিয়মিত শিশুকে হাত ধোয়ানোর অভ্যাস করুন। অন্যের সঙ্গে প্লেট-গ্লাস ইত্যাদি শেয়ার করতে বারণ করুন শিশুকে।
কানের সংক্রমণ
ঠান্ডা আবহাওয়ায় সন্তানের কান শুকনো ও উষ্ণ রাখুন। আর কটনবাড ব্যবহার করবেন না কানে। যে কোনো শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মনে রাখবেন, শীতে সুস্থ থাকতে হলে বড় কিংবা ছোট সবারই ভালো স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন করতে হবে। এর পাশাপাশি সুষম খাদ্য, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পর্যাপ্ত ঘুম ও পানি পান করা জরুরি।
সূত্র: অনলি মাই হেলথ
এস/ আই.কে.জে
খবরটি শেয়ার করুন