বৃহস্পতিবার, ২রা অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** এনসিপিকে শাপলা দিলে মামলা করব না, তবে ইসি দিতে পারে না: মান্না *** শুধু থালাবাটি নয়, এনসিপির জন্য আছে লাউ-বেগুন-কলাসহ ৫০ প্রতীক *** ঝড় উপেক্ষা করে গাজার পথে ফ্লোটিলা, শহিদুল আলমের ভিডিও বার্তা *** ইসরায়েলি সব কূটনীতিককে কলম্বিয়া থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রেসিডেন্ট পেত্রোর *** এআই ‘অভিনেত্রী’-কে ঘিরে যে কারণে তীব্র সমালোচনা, ক্ষুব্ধ হলিউড তারকারা *** ফ্লোটিলা থেকে আটক ২২৩ জনকে ইউরোপে পাঠাবে ইসরায়েল, জাহাজগুলোর ভাগ্য অনিশ্চিত *** নিঃসঙ্গতা কাটাতে ৭৫ বছর বয়সে বিয়ে, অতঃপর... *** দুর্গাপূজায় বেশ কয়েকটি নতুন গান *** গাজায় মানবিক সহায়তাকর্মীদের হত্যার নিন্দা জানালেন প্রিন্স উইলিয়াম *** দুর্গাপূজার আগে ভারতে গেল ১ লাখ ৩০ হাজার কেজি ইলিশ

২০ বছর পর নিজের নাম লিখলেন পক্ষাঘাতগ্রস্ত নারী, সম্ভব করল মাথায় বসানো চিপ

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:১৫ অপরাহ্ন, ২৮শে জুলাই ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

দুই দশক পর প্রথমবারের মতো নিজের নাম লিখতে সক্ষম হয়েছেন এক পক্ষাঘাতগ্রস্ত নারী। তাও শুধু চিন্তার মাধ্যমে। এই অবিশ্বাস্য অর্জন সম্ভব হয়েছে নিউরালিংক কোম্পানির উদ্ভাবিত উন্নত ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) প্রযুক্তির সাহায্যে। খবর এনডিটিভির।

১৬ বছর বয়সে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হন অড্রে ক্রুস নামের এই নারী। সম্প্রতি নিউরালিংকের ব্রেইন বা মস্তিষ্কের চিপের সাহায্যে চিন্তা করে ডিজিটাল হোয়াইটবোর্ডে তার নাম বেগুনি রং দিয়ে লিখতে সক্ষম হন। নিজের এই অর্জনের খবর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে-এ শেয়ার করেছেন তিনি।

এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করেছেন স্বয়ং নিউরালিংকের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। তিনি বলেন, ‘তিনি (অড্রে ক্রুস) শুধু চিন্তা করে তার কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করছেন। অধিকাংশ মানুষ এটা সম্ভব বলে ভাবতেই পারেন না।’

২০১৬ সালে নিউরালিংক প্রতিষ্ঠা করেন মাস্ক। কোম্পানিটি একটি মুদ্রার আকারের চিপ তৈরি করেছে। এই চিপের মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্কের মোটর কর্টেক্সের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করা যায়। চিপটি মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পড়ে এবং তা বুঝে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী শুধু চিন্তার মাধ্যমেই কম্পিউটার কারসর বা কিবোর্ডের মতো ডিভাইস নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পান।

মায়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সফল অস্ত্রোপচার হয় অড্রে ক্রুসের। এক্সে আরেক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমার মাথার খুলি ফাঁকা করে মোটর কর্টেক্সে ১২৮টি সূক্ষ্ম থ্রেড (সুতা) প্রবেশ করানো হয়েছে। চিপটি একটি মুদ্রার আকারের। আমার সঙ্গে ভিআইপির মতো আচরণ করেছে স্বাস্থ্য কর্মীরা।’

তিনি আরও জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তি তার হাঁটার ক্ষমতা ফেরত আনার জন্য নয় বরং শুধু ‘টেলিপ্যাথি’ বা চিন্তার মাধ্যমে ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। তিনি বলেন, ‘এখন আমি শুধু কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি, ভবিষ্যতে আরও ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা পাব।’ অড্রে নিজের জীবন নিয়ে একটি বই লেখার আশাও প্রকাশ করেন।

প্রযুক্তি সরঞ্জাম

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250