রবিবার, ২০শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক: গোপালগঞ্জে প্রশাসন চাইলে রক্তপাত এড়ানো যেত *** পাকিস্তানকে উড়িয়ে ৯ বছর পর জিতল বাংলাদেশ *** এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান হওয়ার বিষয়ে তিন দলের ভিন্ন প্রস্তাব *** এত ‘নির্দোষ, নিরপরাধ, নিষ্পাপ’ সরকার আমি দেখিনি: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য *** গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ এনে কোটালীপাড়ায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন *** গোপালগঞ্জে জারি করা কারফিউ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার *** পাকিস্তানকে দাঁড়াতেই দিলেন না তাসকিনরা *** শুটিংয়ে আহত হননি শাহরুখ *** ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে গ্যাসক্ষেত্র থেকেই বছরে আয় করবে ৪০০ কোটি ডলার *** ফোন করে জামায়াতের আমিরের খোঁজ নিলেন সেনাপ্রধান

যেভাবে জেগে উঠছে আইরিশ সিনেমা শিল্প

বিনোদন ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৭:৫১ অপরাহ্ন, ২০শে জুলাই ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

আশির দশকে আইরিশ পরিচালক ডিয়ারভা ওয়ালশ যখন ক্যারিয়ার শুরু করেন, তখন আয়ারল্যান্ডে কাজের সুযোগ ছিল খুবই কম। সেখানে তখন পরিচালক হতে চাওয়া ছিল কল্পনার মতো। তবে গত কয়েক বছরে চিত্রটা একেবারেই বদলে গেছে। বিশ্ব চলচ্চিত্রশিল্পে আয়ারল্যান্ড এখন অন্যতম প্রধান এক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

নিয়মিত সিনেমা, সিরিজ ও অ্যানিমেশন কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে সেখানে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেগুলো যথেষ্ট সাড়া ফেলছে। এ ছাড়া শুটিং লোকেশন ও প্রযোজনা কেন্দ্র হিসেবে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে আয়ারল্যান্ড। খবর বিবিসির।

গত কয়েক বছরে যেসব আইরিশ সিরিজ বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলেছে, সেগুলোর মধ্যে ‘ব্যাড সিস্টারস’, ‘নরমাল পিপল’ ও ‘বোডকিন’ অন্যতম। ব্যাড সিস্টারসের পরিচালক হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন ডিয়ারভা ওয়ালশ। এ সিরিজে অভিনয় করে দ্বিতীয়বারের মতো এমি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন আইরিশ অভিনেত্রী শ্যারন হরগান। 

সিরিজের পাশাপাশি আইরিশ সিনেমাও বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পাচ্ছে। ২০২৩ সালে অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছিল ‘দ্য ব্যানশিজ অব ইনিশেরিন’ ও ‘দ্য কোয়েট গার্ল’। সাওয়ার্স রোনান ও পল মেসকালের মতো আইরিশ শিল্পীরাও বিশ্ব চলচ্চিত্রে নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।

আইরিশ সিনেমা, টিভি সিরিজ, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও অ্যানিমেশন ইন্ডাস্ট্রিকে ঋণ সুবিধা দিতে সরকারিভাবে গড়ে তোলা হয়েছে স্ক্রিন আয়ারল্যান্ড নামের একটি এজেন্সি। এ প্রতিষ্ঠানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সিনেমা ও টিভি সেক্টর আইরিশ অর্থনীতিতে প্রতিবছর ১ বিলিয়ন ইউরোর বেশি অবদান রাখছে। তৈরি করেছে ১০ হাজারের বেশি ফুলটাইম কর্মসংস্থানের সুযোগ। এ খাতে টেকসই বিনিয়োগ, সরকারি সহায়তা আর প্রশিক্ষণ ছাড়াও এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে উদার কর প্রণোদনা।

অন্যান্য দেশের তুলনায় আয়ারল্যান্ডে নির্মাণ খরচ অনেক কম। সিনেমা, সিরিজ ও অ্যানিমেশনের জন্য আইরিশ সরকার বর্তমানে ৩২ শতাংশ কর ছাড় দিচ্ছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। আয়ারল্যান্ডের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদন খরচের ৩২ শতাংশ ফেরত দাবি করতে পারে সরকারের কাছে, ক্যালিফোর্নিয়ায় যার পরিমাণ মাত্র ২০ শতাংশ।

হলিউড অভিনেতা রব লো তার জনপ্রিয় কুইজ শো ‘দ্য ফ্লোর’-এর শুটিং করেছেন দক্ষিণ ডাবলিনের ব্রে শহরে। তিনি বলেন, ‘লস অ্যাঞ্জেলেসে শুটিং করার চেয়ে আয়ারল্যান্ডে ১০০ লোক নিয়ে গিয়ে শুটিং করার খরচ অনেক কম।’

কম বাজেটের সিনেমার জন্য আরও বেশি সুযোগ পান নির্মাতারা। গত মে মাস থেকে লো বাজেটের সিনেমার ক্ষেত্রে কর ছাড়ের পরিমাণ বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। এ বছর স্ক্রিন আয়ারল্যান্ডে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে ৪০ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ইউরো করেছে সরকার। যার ফলে আরও বেশিসংখ্যক লেখক, নির্মাতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কনটেন্ট নির্মাণের জন্য ঋণ সুবিধা পাবেন।

স্ক্রিন আয়ারল্যান্ডের সিইও ডেসিরি ফিনেগান বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা হলো ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র হিসেবে আয়ারল্যান্ডকে গড়ে তোলা। নির্মাতারা যেন এখানে এসে তাদের মনের মতো গল্প তৈরি করতে পারেন, সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।’

আইরিশ-ব্রিটিশ-কানাডিয়ান সিনেমা ‘ব্রুকলিন’-এর নির্বাহী প্রযোজক অ্যালান মোলোনি জানান, প্রধানত দুটি কারণে আইরিশ ইন্ডাস্ট্রি এত দ্রুত বিকশিত হয়েছে। প্রথমত, স্থানীয় প্রতিভা ও গল্পের ওপর জোর দিয়েছেন তারা।

আর দ্বিতীয়ত, এ দেশে এসে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও স্টুডিওগুলোকে নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। নেটফ্লিক্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ ‘ওয়েডনেসডে’সহ বিভিন্ন সিরিজ ও সিনেমার নিয়মিত শুটিং হচ্ছে দেশটিতে

আইরিশ অভিনেত্রী আইরিশ চলচ্চিত্র

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন