শনিবার, ৮ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** রাজশাহীর প্রশংসা উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের, এড়িয়ে গেলেন নির্বাচন প্রসঙ্গ *** আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে হবে: শফিকুল আলম *** দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর *** আওয়ামী লীগের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাচ্ছে আমেরিকা, ইউরোপ! *** ভারতের মথ ডাল এ দেশে এসে মুগ ডাল হয়ে যাচ্ছে কেন *** জাহানারা ইমামের ব্যক্তিগত বই কেজি দরে বিক্রি করেছে বাংলা একাডেমি *** ‘শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারতের পরিকল্পনা ফাঁস করল বিবিসি’ *** বিএনপি আলোচনায় বসতে রাজি নয়, জানালেন জামায়াত নেতা *** মঞ্জুরুলকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য আরেক নারী ক্রিকেটারের *** ‘তারেক রহমান ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই দেশে ফিরবেন’

মায়ের কোলে ফিরেছে অভাবে কারণে বিক্রি হওয়া সেই নবজাতক

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:২২ অপরাহ্ন, ৩রা জুলাই ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় টাকার বিনিময়ে দত্তক দেওয়া সেই নবজাতক কন্যা শিশুটি অবশেষে মায়ের কোলে ফিরেছে। 

বুধবার (৩রা জুলাই) স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে মরিয়মনগর ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক হিরু এবং স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূর উল্লাহর উপস্থিতিতে কন্যা শিশুটিকে তার মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড কুলালপাড়া গ্রামের সিএনজি অটোরিকশাচালক মো. সাদ্দাম ও স্ত্রী সুমি আক্তারের সংসারে দুটি কন্যা সন্তানের পর তৃতীয় মেয়ে সন্তান জন্মায়। পুত্রসন্তানের আশায় তৃতীয়বারও কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ায় অসন্তুষ্ট ছিলেন বাবা সাদ্দাম। পরে স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ১৪ বছরের নিঃসন্তান এক দম্পতিকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তুলে দেন বাচ্চাটিকে।

চন্দ্রঘোনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে বাচ্চাটিকে তুলে দেওয়ার সময় বিষয়টি দেখেন অন্য এক রোগীকে রক্ত দিতে যাওয়া পারভেজ হোসাইন নামের এক যুবক। তিনি ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে বাচ্চাটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগ নেন স্থানীয়রা।

এই ব্যাপারে মরিয়মনগর ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক হিরু গণমাধ্যমকে বলেন, অভাবের কারণে সিএনজি অটোরিকশাচালক সাদ্দাম হাসপাতালের খরচ বাবদ কিছু সুবিধা নিয়ে মেয়েটিকে দত্তক দিয়েছিলেন। পরে স্থানীয় কয়েকজন মহৎ মানুষ নাম প্রকাশ না করার শর্তে টাকাগুলো অনুদান দেন। বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

পরে টাকাগুলো ফিরিয়ে দিয়ে আমরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে তুলে দিয়েছি। এ সময় ওই দম্পতিকে নগদ টাকা, খাদ্যসামগ্রী উপহার দেওয়া হয়। এমনকি উপস্থিত অনেকে বাচ্চার মুখ দেখে আরও বেশ কিছু নগদ টাকাও উপহার দেন। বাচ্চাটির ভরণপোষণের ব্যাপারে আমরা সব সময় খবরাখবর রাখব।

শিশুটির বাবা মো. সাদ্দাম গণমাধ্যমকে বলেন, হাসপাতালের বিল এসেছে ১২ হাজার। ওষুধ খরচ এবং চিকিৎসকের বিল বাবদ আরও ১০ হাজার টাকা লেগেছে, যা আমার কাছে ছিল না। আমার আরও দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তৃতীয়টাও কন্যাসন্তান হওয়ায় বাধ্য হয়ে চিকিৎসা খরচ জোগাতে বাচ্চাকে খরচের বিনিময়ে নিঃসন্তান আত্মীয়কে দিয়েছি। এখন বাচ্চাকে ফেরত পেয়ে আমি অনেক খুশি। সবাই দোয়া করবেন, তাকে মানুষের মতো মানুষ করতে পারি।

উল্লেখ্য, গত ২৭শে জুন রাতে অন্তঃসত্ত্বা সুমি ভর্তি হন চন্দ্রঘোনা জেনারেল হাসপাতালে। ২৯শে জুন দুপুরে সিজারের মাধ্যমে কন্যাসন্তান জন্ম দেন তিনি। চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার (২রা জুন) বাড়ি যাওয়ার ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ছাড়পত্র পেয়ে নবজাতক শিশুটির মায়ের কোল বাদ দিয়ে ঠাঁই হয় দত্তক মা-বাবার কোলে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়দের আর্থিক সহায়তায় এবং ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় অবশেষে নিজ মায়ের কোলে ফিরল নবজাতক শিশুটি।

এইচআ/ 

নবজাতক দত্তক

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250