জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বহু প্রতীক্ষিত ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর করলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক দলের নেতারা। আজ শুক্রবার (১৭ই অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে এ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হন। অনুষ্ঠানস্থলে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ মোট ২৫টি দল ও জোটের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ–সভাপতি আলী রীয়াজ।
এর আগে আজ সকাল ১০টার দিকে কয়েকশ ‘জুলাই যোদ্ধা’ সংসদ ভবনের বাউন্ডারি পেরিয়ে মূল অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকে পড়েন এবং অতিথিদের জন্য নির্ধারিত আসনে বসে পড়েন। পুলিশ সদস্যরা তাদের সরিয়ে দিতে গেলে প্রথমে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি এবং পরে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
এরপর ‘জুলাই যোদ্ধা’ সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, অগ্নিসংযোগ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। বেলা পৌনে ২টার দিকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ধরে চলে।
পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আন্দোলনকারীদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দিতে সক্ষম হন। পুলিশ সদস্যরা জুলাই যোদ্ধাদের সড়কের দু'পাশে, খামারবাড়ি, ফার্মগেট ও ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের দিকে সরিয়ে দেন।
সংঘর্ষের ঘটনার পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে জানান, ঐতিহাসিক এই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান কিছুটা দেরিতে শুরু হতে পারে।
পোস্টে শফিকুল আলম লেখেন, ‘ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের জন্য আমরা প্রস্তুত। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অনুষ্ঠানটি কয়েক মিনিট দেরিতে শুরু হতে পারে। তবে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে এবং কিছু অতিথি ইতিমধ্যে ভেন্যুতে এসে পৌঁছেছেন। আমাদের ইতিহাসের নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।’
অনুষ্ঠান আজ বিকেল ৪টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে।
খবরটি শেয়ার করুন