ছবি: সংগৃহীত
তুরস্কের উসামানীয় সাম্রাজ্যের ৩১তম সুলতান ছিলেন সুলতান দ্বিতীয় আবদুল মজিদ। তিনি ১৮৩৯ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে জন্মগ্রহণ করেন। বেড়ে উঠেছিলেন তোপকাপি প্রাসাদে। উসামানীয় সাম্রাজ্যের এই সুলতান ইসলাম এবং আধুনিক বিজ্ঞান উভয় শাস্ত্রেই শিক্ষা অর্জন করেছিলেন। তিনি ১৮৭৬ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্যের শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন। এ সময়টি উসমানীয় সাম্রাজ্যের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জের সময় ছিল।
সুলতান আব্দুল মজিদের শাসনামলে পুরো বিশ্ব দ্রুত আধুনিকায়নের দিকে ধাবিত হচ্ছিল। ১৯ শতকের শেষের দিকে নিজের শাসনামলে সৌদি আরবের মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববীর আধুনিকায়নে সুলতান আবদুল মজিদ একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যা মসজিদটির আধুনিকায়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। তিনি মসজিদে নববীতে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করেছিলেন। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে শুধু তেলের বাতি এবং প্রাকৃতিক সূর্যের আলোর ওপর নির্ভরশীল মসজিদে নববীর আলোকসজ্জায় পরিবর্তন সাধিত হয়।
১৯ শতকের শেষের দিকে মসজিদে নববীতে বিদ্যুৎ প্রবর্তনের মাধ্যমে মসজিদটির রাত ও সন্ধ্যার নামাজের উপযোগী পরিবেশ তৈরিতে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
এই আধুনিকীকরণের মাধ্যমে প্রতি বছর মসজিদে নববীতে আগমন করা মুসল্লিদের ইবাদতের পরিবেশ আরও বেশি নির্বিঘ্ন হয়েছে।
সুলতান আবদুল মজিদ ১৯০৯ সালে ইন্তেকাল করেন। তিনিই মসজিদে নববীতে প্রথম বিদ্যুৎ ও বাল্ব স্থাপন করেছিলেন। তৎকালীন সময়ে মসজিদে নববীতে স্থাপিত প্রথম বাল্বগুলোর একটি সংরক্ষিত রয়েছে এখনো। যা আজও তার স্মৃতি বহন করছে। এই বাল্বটি ১২০ বছরের পুরোনো।
সূত্র : দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন
ওআ/ আই.কে.জে