ছবি: সংগৃহীত
পেয়ারা গাছ বারোমাসি হলে সারা বছরই ফল ধরে। পেয়ারা গাছে সারাবছর ফল ধরানোর কিছু কৌশল আছে। সেই বিষয় জেনে নেরো:
হরমোন জাতীয় পদার্থ প্রয়োগ পদ্ধতি: সাধারণত ২ থেকে ৫ বছর বিশিষ্ট পেয়ারা গাছে হরমোন প্রয়োগ করতে হয়। এপ্রিল- মে মাসে হরমোন প্রয়োগ করার উৎকৃষ্ট সময়। স্প্রে মেশিন বা ফুট পাম্প দিয়ে খুব ভালো করে পেয়ারা গাছের পাতা ভিজিয়ে দিতে হবে।
শিকড় উন্মুক্তকরণ পদ্ধতি: পেয়ারা গাছের গোড়ার মাটি আলাদা করে দিতে হবে। মাটি তুলে শিকড়গুলো বের করে করে নাড়াচাড়া করে দিতে হবে। মাটি তুলে দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেনো শিকড় কেটে না যায়। গোড়ার মাটি উন্মুক্ত করার ১০-১৫ দিন পর গাছের পরিচর্যা করতে হবে৷ গাছে পরিমাণমত সার এবং সেচ এর ব্যবস্থা করতে হবে। এ কাজটি এপ্রিল- মে মাসের মধ্যে করতে হয়। এর ফলে গাছের পাতা কয়েকদিনের মধ্যে লাল হয়ে ঝরে যেতে পারে। এ পদ্ধতি অবলম্বন করলে গাছে ডিসেম্বর- জানুয়ারি মাসে ফলধারণ করে৷
আরো পড়ুন: বৈশাখের প্রথম দিন থেকেই পাকা ধান কাটার উৎসব শুরু
শাখা- প্রশাখা বাঁকানো পদ্ধতি: শাখা- প্রশাখা বাঁকানো পদ্ধতি সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তি। পেয়ারার ডাল বাকালেই প্রায় ১০ গুণ বেশি ফলন হয়। ১.৫ থেকে ২ বছর হলে এই পদ্ধতি শুরু করা যাবে এবং ৫-৬ বছর পর্যন্ত এ পদ্ধতিতে ফলন বাড়ানো সম্ভব। ডাল বাঁকানোর ১০-১৫ দিন আগে গাছের গোড়ায় সার এবং পানি দিতে হবে। ডাল বাঁকানোর সময় প্রতিটি শাখার অগ্রভাগের প্রায় ১ থেকে ১.৫ ফুট অঞ্চলের পাতা ও ফুল-ফল রেখে বাকি অংশ ছেটে দিতে হবে।
এরপর ডাল গুলোকে সুতা দিয়ে বেঁধে তা বাকিয়ে মাটির কাছাকাছি করে সাথে অথবা খুঁটির মাধ্যমে মাটিতে বেঁধে দিতে হয়। গ্রীষ্মকালে ১০-১২ দিন পরেই নতুন ডাল গজানো শুরু হয়। ডাল বাঁকানোর ৪৫-৬০ দিন পরে ফুল ধরা শুরু হয়। এভাবে গজানো প্রায় প্রতি পাতার কোলেই ফুল আসে। এ পদ্ধতিতে সারা বছরই ফলন পাওয়া যায়।
এসি/ আই.কে.জে