সোমবার, ২০শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** পাকিস্তান দেখাল কীভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ‘ডিল’ করতে হয় *** দেশে লাগাতার অগ্নিকাণ্ডে স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে সরকারের কোর কমিটি *** নাহিদের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বলল জামায়াত *** প্রথম আলোর আলোচনায় জুলাই সনদ *** আলোচনা-সমালোচনায় কবি-সাংবাদিক আলতাফ, সহকর্মীরা প্রতিবাদমুখর, সরব নারীনেত্রীরা *** জামায়াত সম্পর্কে কী এনসিপির নতুন উপলব্ধি *** খালেদা জিয়ার সংসদ নির্বাচনের প্রচারে অংশ নেওয়ার বিষয়ে যা জানাল বিএনপি *** একের পর এক অগ্নিকাণ্ড নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জরুরি বৈঠক *** জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি *** আন্দোলনের জবাবে ট্রাম্প বললেন, ‘আমি রাজা নই’

দিনাজপুরে কচুর ভালো ফলন, দামেও খুশি চাষিরা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৮:৩৮ অপরাহ্ন, ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের বিরামপুরে কচুর ফলন গত বছর কম হলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। বিরামপুরে ধানের পর কচু চাষে সাফল্য অর্জন করেছেন চাষিরা। ভালো ফলনের পাশাপাশি দামও ভালো পেয়েছেন কৃষকেরা।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বিভন্ন প্রজাতির ১৬০ হেক্টর জমিতে কচু চাষ হয়েছে। প্রায় ৮৫০ জন কচু চাষ করেছেন। বেশি চাষ হয়েছে বিলাসি জাতের কচু। প্রতি বিঘা জমিতে ৮০-১০০ মণ ফলন হয়েছে। এতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মণ উৎপাদন হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার মুকুন্দপুর, কেশবপুর, ফকিরপাড়া, হরেকৃষ্ণপুর, ভবানিপুর, মাহমুদপুর, প্রস্তমপুর, সারাঙ্গপুর, চকবসন্তপুর, মির্জাপুর ও হাবিবপুর গ্রামের মাঠে সবচেয়ে বেশি কচু চাষ হয়েছে।

কৃষকদের দাবি, প্রতি বিঘা জমিতে শ্রেণিভেদে ৭০-৮৫ মণ ফলন হয়েছে। ১ বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকার বীজ, পানি ৪ হাজার, নিড়ানি ৬ হাজার, বাঁধানো ৭ হাজার, সার ৬ হাজার, গোবর সার ২ হাজার, চাষ ১ হাজারসহ মোট ৩৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া মাঠ থেকে ফলন তুলতে মণপ্রতি আরও ২০০ এবং পরিষ্কার করতে ১০০ টাকা খরচ হয়েছে।

বিরামপুর কাঁচা বাজার এলাকার চাষিরা ভ্যানে করে জমি থেকে তোলা বিভিন্ন সবজি বাজারে আনছেন। বাজারে প্রতিমণ কচু বিক্রি হচ্ছে শ্রেণিভেদে ১৩৫০-১৪৫০ টাকা পর্যন্ত। এসব কচু স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকে করে চলে যাচ্ছে।

মাধবপাড়া গ্রামের কৃষক ইমরান আলী বলেন, ‘এ বছর ৩ বিঘা জমিতে কচু চাষ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে শ্রেণিভেদে ৭৫-৮০ মণ কচু চাষ হয়েছে। গত বছর অনাবৃষ্টির কারণে ফলন কম হলেও এবার ভালো হয়েছে। বর্তমানে ১ মণ কচু ১৪২০ টাকা কেজিদরে বিক্রি করেছি। এতে বিঘাপ্রতি খরচ বাদ দিয়ে ভালো লাভ হয়েছে।’

আরও পড়ুন: কম খরচে বেশি লাভ, বস্তায় আদা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

ভবানিপুর গ্রামের কচু চাষি আহসান কামাল বলেন, ‘১২ বছর ধরে কচু চাষ করছি। প্রতি বছর বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে ফলন কম-বেশি হয়। এবার খুব ভালো ফলন হয়েছে। ২ বিঘা জমিতে ১৮০ মণ কচু হয়েছে। প্রতি মণ কচু ১৪০০ টাকা বিক্রি করেছি। এতে খরচ বাদে ভালোই লাভ হয়েছে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ রায় বলেন, ‘উপজেলার বেশ কয়েকটি মাঠে কচু চাষ হয়। এলাকার মাটি বেলে-দোআঁশ মাটির মিশ্রণ আছে। এসব জমি কচু চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।’

তিনি বলেন, ‘বিরামপুর এলাকায় কচু চাষ দিন দিন বাড়ছে। আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে ফলন কিছুটা কম-বেশি হয়। এ কচু এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।’

এসি/কেবি

বিরামপুর কচুর ফলন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250