রবিবার, ১৯শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** আলোচনা-সমালোচনায় কবি-সাংবাদিক আলতাফ, সহকর্মীরা প্রতিবাদমুখর, সরব নারীনেত্রীরা *** জামায়াত সম্পর্কে কী এনসিপির নতুন উপলব্ধি *** খালেদা জিয়ার সংসদ নির্বাচনের প্রচারে অংশ নেওয়ার বিষয়ে যা জানাল বিএনপি *** একের পর এক অগ্নিকাণ্ড নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জরুরি বৈঠক *** জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি *** আন্দোলনের জবাবে ট্রাম্প বললেন, ‘আমি রাজা নই’ *** পুঁজিবাজার চাঙা করতে আইসিবিকে ১০০০ কোটি টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা *** অগ্নিনির্বাপণে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে, দাবি উপদেষ্টার *** নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকেরা *** দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী অদম্য নাবিলার এসএসসি জয়, হতে চায় মায়ের মতো শিক্ষক

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, ১৪ই মে ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

সকল প্রতিকূলতা এড়িয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে লালমনিরহাটের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী খন্দকার নাবিলা তাবাসসুম (১৮)। জিপিএ ৩.৮৯ পেয়ে পাস করেছে অদম্য নাবিলা। নাবিলার এই ফলাফলে আন্দদিত তার পরিবার ও  শিক্ষকরা। 

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীন লালমনিরহাট শহরের চার্চ অব গড উচ্চবিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ থেকে নাবিলাব এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। সে লেখাপড়া শেষ করে তার মা খন্দকার ফারজানা আফরিনের মতো শিক্ষক হতে চান। পাশাপাশি চালিয়ে যেতে চান কবিতা আবৃত্তি ও সংগীতচর্চা।

নাবিলা গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমার দুচোখে আলো নেই। শিক্ষা ও সংগীতের মাধ্যমে আমার অন্তরের আলোয় আলোকিত হতে চাই। আমি সাধ্যমতো সেই চেষ্টাই করছি।’ 

অদম্য নাবিলা শ্রুতলিখন পদ্ধতিতে লালমনিরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত ২০ মিনিট বেশি দেওয়া হয়। পরীক্ষার হলে শ্রুতলিখনে সহায়তা করেছে জেলার আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রহিমা খাতুন। পরীক্ষার হলে নাবিলা মৃদু কণ্ঠে প্রশ্নের উত্তরগুলো বলে দিতো আর স্কুল ছাত্রী রহিমা সেই উত্তর শুনে পরীক্ষার খাতায় লিখে দিয়েছে।

আরো পড়ুন: ৫৭ বছরে এসএসসি পাস করলেন পুলিশ কনস্টেবল ছামাদ, হতে চান চিকিৎসক

ফলাফল শোনে স্কুল ছাত্রী রহিমা খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নাবিলা আপু জিপিএ ৩.৮৯ পেয়েছে জেনে আমি খুশি হয়েছি। একজন মেধাবী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছাত্রীকে শ্রুতলিখন পদ্ধতিতে পরীক্ষার হলে সহায়তা করতে পেরে আমি আনন্দিত।’

নাবিলার মা স্কুলশিক্ষিকা ফারজানা আফরিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার মেয়ে প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এই সাফল্য অর্জন করেছে। সে আরও সামনে এগিয়ে যেতে চায়। আমার মতো শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে চায়। আমরা নাবিলার জন্য গর্বিত।’

সরকারি চাকরিজীবী বাবা আল এমরান খন্দকার গণমাধ্যমকে জানান, ‘মেয়ের এই সাফল্যে পরিবারের সবাই আনন্দিত। আপনারা সবাই আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন, সে যেন তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।’

নাবিলা তাবাসসুম ১০ বছরের বেশি সময় ধরে লালমনিরহাট শহরের পাশে হাঁড়িভাঙ্গা এলাকায় অবস্থিত বেসরকারি সংস্থা আরডিআর পরিচালিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্রের আবাসিক ছাত্রী ছিল। এই ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় ওই পুনর্বাসন কেন্দ্রটির অ্যাডমিন অ্যান্ড আউটরিচ অফিসার প্রদীপ কুমার রায় গণমাধ্যমকে বলেন, শুধু পড়াশোনায় নয়, অদম্য মেধাবী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী খন্দকার নাবিলা কবিতা আবৃত্তি ও সংগীতচর্চাও সুনাম রয়েছে।

এইচআ/ 

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নাবিলা তাবাসসুম

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250