শনিবার, ২৯শে নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৪ই অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সমালোচনামূলক কনটেন্ট সরাতে সরকার অনুরোধ করেনি: প্রেস উইং *** মধ্যরাতে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা জানিয়েছে বিএনপি *** জালিম একই আছে, লেবাস বদলেছে: সৈয়দ জামিল আহমেদ *** বাউলদের বিরুদ্ধে 'তৌহিদী জনতাকে' বিদেশি শক্তি মাঠে নামাচ্ছে: ফরহাদ মজহার *** হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়ার খবর নিলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা *** প্রধান উপদেষ্টার প্রতি তারেক রহমানের কৃতজ্ঞতা *** কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন *** রাষ্ট্র সংস্কার কি সরকারের কাছে শুধুই ফাঁকা বুলি, প্রশ্ন টিআইবির *** আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব পরিবর্তনে 'বিদেশ থেকে খেলা চলছে', দাবি সজীব ওয়াজেদের *** প্রতিদিন শত শত ছবি দেখে মাহফুজ আনামের পর্যবেক্ষণ ও অনুভূতি

কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, ২৯শে নভেম্বর ২০২৫

#

ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন কারামুক্ত হয়েছেন। শুক্রবার (২৮শে নভেম্বর) বিকেলে তিনি কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। এর আগে ২৪শে নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট।

শুক্রবার রাতে যোগাযোগ করা হলে কারা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন ও গণমাধ্যম) মো. জান্নাত-উল-ফরহাদ গণমাধ্যমকে বলেন, হাফিজুর রহমানের জামিন–সংক্রান্ত আদালতের আদেশের কপি এদিন দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়। এরপর বিকেলে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।

গত ২৮শে আগস্ট সকালে সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, হাফিজুর রহমানসহ অন্যরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) একটি গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিতে যান। ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজক ছিল ‘মঞ্চ ৭১’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নাম ছিল। তবে তিনি সেখানে ছিলেন না।

সকাল ১০টায় আলোচনা সভা শুরু হলে প্রথমে বক্তব্য দেন হাফিজুর রহমান। তার বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই মিছিল নিয়ে একদল ব্যক্তি ডিআরইউ মিলনায়তনে ঢোকেন। এ সময় তারা ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘জুলাইয়ের যোদ্ধারা, এক হও লড়াই করো’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। একপর্যায়ে তাঁরা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে আলোচনায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের একটি দল আসে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের কাছে লতিফ সিদ্দিকী, হাফিজুর রহমান, মঞ্জুরুল আলমসহ অন্তত ১৬ জনকে তুলে দেন।

আটকের ১২ ঘণ্টার বেশি সময় পর গত ২৮শে আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দেয় পুলিশ।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ৬ই নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলমকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে পৃথক আবেদন করে। শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ ১০ই নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন। এতে তাদের হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল থাকে। এরপর ওই মামলায় হাফিজুর রহমানকে জামিন দেন আদালত।

শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250