মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আজ রাষ্ট্রীয় শোক *** সংসদে সংরক্ষিত আসন চায় দলিত সম্প্রদায় *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নরেন্দ্র মোদির শোক *** সাগরিকার হ্যাটট্রিকে নেপালকে উড়িয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক *** হাসপাতাল এলাকায় অহেতুক ভিড় না করার অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার *** নিরীহদের হয়রানি না করতে অনুরোধ গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির *** পাইলট বিমানটিকে জনবিরল এলাকায় নেওয়ার চেষ্টা করেন: আইএসপিআর *** বিসিবির সিদ্ধান্ত বদল, স্টেডিয়ামে খাবার নিয়ে ঢুকতে মানা *** বিমান দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য বাঁচলেন অভিনেত্রী সানা

যে দ্বীপ থেকে মহাকাশ সবচেয়ে কাছে!

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:২২ অপরাহ্ন, ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য দ্বীপ। এর কোনোটিতে মানুষের বাস থাকলেও অনেক দ্বীপ আছে ভয়ংকর প্রাণীতে ঠাঁসা। যেখানে মানুষের থাকা তো দূরের কথা যাওয়াও অসম্ভব। ভয়ংকর এবং বিষাক্ত জীবজন্তুর আবাস সেখানে।

এমনই একটি নির্জন এবং ভয়ংকর দ্বীপ আছে। যেখানে হাজার হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত মানুষের কোনো চিহ্ন নেই। এমনকি পৃথিবীর কাছাকাছি স্থানগুলোতে পৌঁছানো কঠিন। তবে মহাকাশে পৌঁছানো সহজ। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন এটি নাকি মহাকাশ থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের জায়গা।

পৃথিবীর সবচেয়ে নির্জন জায়গার নাম পয়েন্ট নিমো। যেটি ১৯৯২ সালে আবিষ্কার করে হোর্ভজ লুকাটেলা নামে এক জরিপ প্রকৌশলী। প্রশান্ত মহাসাগরের এই বিচ্ছিন্ন স্থানটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্গম এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এই জায়গাটি দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে অবস্থিত। এখানে কোনো দেশের অধিকার নেই। এটি জনবসতি থেকে অনেক দূরে বলে এই স্থানটিকে বিজ্ঞানীরা বেছে নিয়েছিলেন যাতে মহাকাশযানে কখনো ত্রুটি দেখা দিলে এই অংশে ফেলে দেওয়া যায়।

আরো পড়ুন : চাঁদে নিজের কণ্ঠস্বরও শুনতে পান না নভোচারীরা, কিন্তু কেন?

যদি পয়েন্ট নিমো থেকে শুষ্ক জমির সন্ধান করেন তবে এর নিকটতম দ্বীপ ডুসিতে যেতে হবে। যার দূরত্ব পয়েন্ট নিমো থেকে প্রায় ২৭০০ কিলোমিটার দূরে। একই সময়ে, আপনি যদি এই স্থান থেকে ৪০০ কিলোমিটার উপরে হাঁটেন তবে আপনি আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছে যাবেন। মূলত এভাবেই মহাকাশ পৃথিবীর চেয়ে এই স্থানের কাছাকাছি।

১৯৭১ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে এই স্থানে ২৬০টিরও বেশি মহাকাশযান সমাহিত হয়েছে। একে মহাকাশযানের কবরস্থানও বলা হয়। ক্যাপ্টেন নিমোর নামে এই জায়গাটির নামকরণ করা হয়েছিল। এখান থেকে পৃথিবীর কাছাকাছি স্থানগুলোতে পৌঁছানো কঠিন এবং মহাকাশে পৌঁছানো সহজ। এখানকার নীরবতা এতটাই ভয়ানক যে পাথর ভাঙার শব্দও আত্মাকে শিহরণ দেয়। পথিবীর এই জায়গাটি নিয়ে মানুষের জানার কৌতুহলের কোনো শেষ নেই।

সূত্র: লাইভ সাইন্স, দ্য ওসান রেস

এস/ আই. কে. জে/ 

মহাকাশ দ্বীপ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন