ছবি: সংগৃহীত
কারো কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে তার ওপর পশু কোরবানি ওয়াজিব। কোরবানির পশু নিজে জবাই করা উত্তম। রসুল (সা.) নিজ হাতে পশু কোরবানি করেছেন। তবে অন্যকে দিয়েও জবাই করানো জায়েজ।
সামর্থ্য থাকার পরও যে ব্যক্তি পশু কোরবানি না করে তার ব্যাপারে হাদিস শরিফে কঠোর হুঁশিয়ারি এসেছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যার কোরবানি করার সামর্থ্য আছে তবুও সে কোরবানি করল না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে। (মুসনাদে আহমদ ২/৩২১; মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস : ৭৬৩৯; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫)
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কোরবানির দিনের আমলসমূহের মধ্য থেকে পশু কোরবানি করার চেয়ে কোনো আমল আল্লাহ তায়ালার নিকট অধিক প্রিয় নয়। কিয়ামতের দিন কোরবানির পশুর শিং, পশম ও ক্ষুরসহ উপস্থিত করা হবে। আর কোরবানির রক্ত জমিনে পড়ার আগেই আল্লাহ তায়ালার নিকট কবুল হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে কোরবানি কর। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ১৪৯৩)
কোরবানির পশু নিজে জবাই করা উত্তম। তবে কেউ চাইলে অন্যকে দিয়েও জবাই করাতে পারবে। এ ক্ষেত্রে কোরবানি দাতা পুরুষ হলে জবাইস্থলে তার উপস্থিত থাকা ভালো। ফাতোয়ায়ে শামি : ৫/২৭)
আরো পড়ুন: যে কারণে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন কিংবদন্তী মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, একবার রাসুল সা. আদেশ করলেন, এমন একটি শিংদার দুম্বা আনতে যা কালো আঁধারে হাঁটে, কালো আঁধারে শোয় এবং কালো আঁধারে দেখে, যাতে তিনি তা কোরবানি করতে পারেন। সুতরাং তার জন্য এ রূপ একটি দুম্বা আনা হলো। তখন তিনি বললেন, হে আয়েশা! ছুরিটি দাও, অতঃপর বললেন, পাথরে ছুরিটি ধারালো কর। আয়েশা রা. বললেন, আমি তা করলাম। অতঃপর তিনি তা গ্রহণ করলেন এবং দুম্বাকে ধরলেন, এরপর তাকে শোয়ালেন এবং জবাই করতে গিয়ে বললেন, বিসমিল্লাহ, হে আল্লাহ! আপনি তা মুহাম্মদ, মুহাম্মদের পরিবার এবং মুহাম্মদের উম্মতগণের পক্ষ থেকে কবুল করুন। অতঃপর তা দ্বারা তিনি লোকদের সকালের নাস্তা খাওয়ালেন। (মুসলিম, হাদিস : ৫২০৩)
অন্য এক হাদিসে এসেছে, হজরত আনাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) এক ঈদে ধূসর রঙের শিংওয়ালা দুটি দুম্বা কোরবানি করলেন। তিনি সেগুলো নিজ হাতে জবাই করলেন এবং জবাইকালে ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর’ বললেন। (বুখারি, হাদিস : ৫৬২৪)
এসি/ আই.কে.জে