হংকংয়ের সিকিউ সেন্টারের মঞ্চে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকায় ক্যান্টোনিজ অপেরা অভিনেতা লুং কুন-টিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভূমিকায় রজার চ্যান। ছবি: সিএনএন
তুমুল তর্ক-বিতর্ক চলছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে পরিস্থিতি এতই উত্তপ্ত হয়ে গেল যে, জেলেনস্কির মুখে পানি ছুড়ে মারলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। বাস্তবে নয়, হংকংয়ে এক অপেরা মঞ্চে ‘ট্রাম্প: দ্য টুইনস প্রেসিডেন্ট’ প্রহসন নাটকের দৃশ্য এটি।
প্রযোজনাটি ক্যান্টোনিজ অপেরার একটি আধুনিক রূপ, যেখানে সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও বিশ্ব রাজনীতির নাটকীয় পালাবদল কল্পনার ছকে তুলে ধরা হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রথম ট্রাম্প-নির্ভর অপেরা পরিবেশনার পর এটি এই ধারাবাহিকতার সর্বশেষ সংস্করণ। খবর সিএনএনের।
অপেরাটির সাম্প্রতিক পরিবেশনায় স্থান পেয়েছে নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্পকে কথিত হত্যাচেষ্টা, তার শিক্ষা ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানবিরোধী বক্তব্য এবং ইলন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন। আড়াই ঘণ্টার এ অপেরা শুরু হয় ইভাঙ্কা ট্রাম্পের (ট্রাম্পের মেয়ে) একটি স্বপ্নদৃশ্য দিয়ে। দেখানো হয় ইভাঙ্কা স্বপ্নে দেখছেন ট্রাম্পের এক যমজ ভাই আছেন। তিনি চীনে থাকেন। ট্রাম্পের যমজ ভাইয়ের নাম চুয়ান পু।
ইভাঙ্কার স্বপ্নের মধ্যে ট্রাম্প অপহৃত হন। তখন দেশকে স্থিতিশীল রাখতে চাচা চুয়ান পুকে ট্রাম্প সেজে আমেরিকার সরকারের নেতৃত্ব নেওয়ার অনুরোধ করেন ইভাঙ্কা।
অপেরার রচয়িতা ও সুরকার এডওয়ার্ড লি কুই-মিং জানান, তরুণদের কাছে ক্যান্টোনিজ অপেরাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতেই তিনি ট্রাম্পকে কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প বিশ্বজুড়ে প্রভাবশালী একজন ব্যক্তিত্ব। তার চরিত্র আমাদের উপস্থাপনায় নতুন মাত্রা এনেছে।’
প্রচলিত ক্যান্টোনিজ অপেরায় যেখানে ঐতিহ্যবাহী রং ও সাজ-পোশাক অনুসরণ করা হয়, সেখানে এ প্রযোজনায় দেখা গেছে আধুনিক মঞ্চকৌশল। বর্ষীয়ান অভিনেতা লুং কুন-টিন ট্রাম্প চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সোনালি পরচুলা ও শারীরিক অভিব্যক্তির মাধ্যমে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে।
অপেরায় দেখা যায় আরও কিছু ঐতিহাসিক রাজনৈতিক চরিত্র—যেমন আব্রাহাম লিংকন, রিচার্ড নিক্সন, মাও সে তুং ও কিম জং উন। তবে রচয়িতার দাবি, তার উদ্দেশ্য রাজনৈতিক বিতর্ক নয়, বরং ভালোবাসা ও শান্তির বার্তা পৌঁছে দেওয়া।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন