ছবি: সংগৃহীত
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষে তেমন লাভবান না হওয়ায় এবার ভোলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে কৃষকরা ক্যাপসিকাম চাষে ঝুঁকেছেন। তারা জানান, ক্যাপসিকাম ক্ষেতে পোকা-মাকড়ের তেমন আক্রমণ না হওয়ায় তেমন পরিশ্রমও করতে হয় না। কম খরচে অধিক লাভজনক ক্যাপসিকাম চাষ।
ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন মাঝের চর ও দৌলতখান উপজেলার মদনপুর চরের কৃষকরা জানান, জেলার বিছিন্ন চরাঞ্চলে প্রতি বছরই বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছেন তারা। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অসময়ে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি হানা দেয় ক্ষেতে। এতে বেশিভাগ সময়ই লাভের চেয়ে লোকসান গুনতে হয় কৃষকদের। তাই এবার লোকসান কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য বেশিভাগ কৃষকই ক্যাপসিকাম চাষে ঝুঁকছেন।
মাঝের চরের কৃষক মোঃ মনির হোসেন, মোঃ ইউসুফ ও মদনপুর চরের কৃষক মোঃ আকবর ও ইসমাইল হোসেন জানান, চরাঞ্চলে তারা আগে ব্যাপক হারে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করতেন। কিন্তু জোয়ারের পানি, লবণাক্ত পানি ও বৃষ্টির পানির ক্ষতির কারণে তাদের তেমন একটা লাভ হতো না। এজন্য তারা চরে অন্যান্য কৃষকদের দেখাদেখি এ বছর ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। ক্যাপসিকাম রোগ-পোকা মাকড়ের আক্রমণ তেমন না থাকায় কম খরচে ও কম পরিশ্রমে ক্ষেতে ব্যাপক ফলন হওয়ায় খুশি তারা। এ পর্যন্ত তারা প্রত্যেকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছেন।
আরো পড়ুন: খিরা চাষে ঝুঁকছেন সোনাগাজীর কৃষকরা, খরচের চেয়ে লাভ অনেক বেশি
তারা আরো জানান, সবজি চাষে ক্ষতি হলে ঘুড়ে দাঁড়ানো অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পরে। কিন্তু ক্যাপসিকামে ক্ষতি হলেও ঘুরে দাঁড়ানো সহজ হয়। এজন্য মাঝের চর ও মদনপুর চরে কৃষকরা ক্যাপসিক্যাম চাষে ঝুঁকছেন। আগে দুই চরে এক থেকে দেড়শ কৃষক ক্যাপসিকাম চাষ করলেও এ বছর চাষ করেছেন ৮০০ থেকে ৯০০ কৃষক।
এ বছর জেলায় প্রায় ১০০ একর জমিতে ক্যাপসিক্যামে আবাদ হয়েছে। এছাড়া এ বছর কৃষকরা ক্যাপসিকাম চাষ করে সফল হওয়ায় আগামীতে আবাদের পরিমাণ ৩ থেকে ৪ গুণ বাড়বে বলে মনে করেন ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসূল কবীর।