ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) স্বাধীনতা ভোজ ও গণবিবাহের আয়োজন করছেন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থীরা। বিয়ের যাবতীয় খরচ হলের শিক্ষার্থীই বহন করবেন। আগামী ২০শে সেপ্টেম্বর এ গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এর জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপে পাত্র-পাত্রী খুঁজছেন তারা।
এদিন গণঅভ্যুত্থানে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ অর্জনকে আরও স্মরণীয় করতে, শিক্ষার্থীদের ‘ট্রমাটিক সিচুয়েশন’ কাটাতে স্বাধীনতা ভোজ, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আয়োজনের খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই উল্লাস প্রকাশ করেছেন। অনেকেই এ বিষয়ে স্টাটাস দিয়ে মতামত ব্যক্ত করছেন।
এইচএম ইমরান হোসাইন লিখেছেন, ‘ঢাবির গণবিবাহে আমাদের কি সুযোগ আছে! থাকলে এই সুযোগ মিস করতে চাচ্ছি না।’
শাকিল হাসান একটি দাবি জানিয়ে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে এমন বিনা খরচে গণবিবাহের বিধান চালু হোক।’
আরও পড়ুন: তঞ্চঙ্গ্যাদের আছে নিজস্ব ভাষা ও বর্ণমালা
মায়মুনা ইসলাম বৃষ্টি একটু রসিকতা করে লিখেছেন, ‘ওগো, হ্যাঁগো। চলো বিয়েটা এবার করেই ফেলি। আর আপত্তি কইরো না মনা।’
এফএ ফারজানা আফনান লিজা আয়োজকদের কাছে জানতে চেয়ে লিখেছেন, ‘বহিরাগত হলে কি অংশগ্রহণ করা যাবে?’
সুদীপ্ত সাঈদ খান হাসির ইমোজি ব্যবহার করে লিখেছেন, ‘পাত্রী পাইলে এই সুযোগে একটা বিয়ে করে ফেলতাম।’
শেখ আল তমাল অবশ্য হাস্যরসাত্মক ঢঙে লিখেছেন, ‘বিবাহ নামক ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থায় গণহারে পুরুষদের বন্দি করার এই অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নিন্দা জানাই। নারী মানেই স্বৈরাচারী, নারী মানেই ফ্যাসিবাদ। যারা পুরুষের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে খাচায় বন্দি করার মতো গণ-উদ্যোগ নিয়েছে কিন্তু সেটার ফল গণতান্ত্রিক নয়, তাদের বিরুদ্ধে সব সময় অবস্থান নিবো। যে কোনো অবস্থায় স্বৈরাচার রুখে দিতে হবে। জয় চিরকুমার সংঘ। সিংহ পুরুষ সমাজ দীর্ঘজীবী হোক।’
এসি/কেবি