সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল দেখতে যাচ্ছেন ভুটানের রাজা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:৫২ পূর্বাহ্ন, ২৮শে মার্চ ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রাম সফরে যাচ্ছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক। বৃহস্পতিবার (২৮শে মার্চ) বাংলাদেশ ও ভুটান সরকারের যৌথ উদ্যোগে কুড়িগ্রামে জিটুজি-ভিত্তিক প্রস্তাবিত “ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল”-এর জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করবেন তিনি।

অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রম শুরু হলে দেশের দারিদ্র্যপীড়িত এ জেলার মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

তারা এখন দারিদ্র্য বিদায় জানানোর স্বপ্ন দেখছেন। কেননা, কুড়িগ্রামে গড়ে উঠছে ‘ভুটানি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’। 

বাংলাদেশ ও ভুটান সরকারের যৌথ উদ্যোগে জিটুজি-ভিত্তিক প্রস্তাবিত ভুটানি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করবেন ভুটানের রাজা। সদর উপজেলায় ধরলাপাড়ে কুড়িগ্রাম-সোনাহাট স্থলবন্দর মহাসড়কের মাধবরাম গ্রামে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশেষ এ অর্থনৈতিক অঞ্চল।

আরো পড়ুন: ঈদের আগে জাল টাকা তৈরির মূলহোতা আরিফসহ গ্রেফতার ৩

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান থেকে ধরলার দূরত্ব প্রায় ৫০০ মিটার, কুড়িগ্রাম শহর এক কিলোমিটার, রেলওয়ে স্টেশন তিন কিলোমিটার, সোনাহাট স্থলবন্দর (ভারতের আসামের সঙ্গে যুক্ত) ৪৪ কিলোমিটার, চিলমারী নৌ-বন্দর ৩৪ কিলোমিটার রংপুর নগরী ৫২ কিলোমিটার ও লালমনিরহাট বিমানবন্দর ৩১ কিলোমিটার। অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশপথের ভালো যোগাযোগ আছে। তবে লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি এখন চালু নেই।

কুড়িগ্রামের স্থানীয়রা মনে করছেন, নদ-নদী ও চরাঞ্চল অধ্যুষিত এই জেলায় কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাসহ শিল্পায়নের সুযোগ সৃষ্টি হবে। কুড়িগ্রামে ভুটানি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আন্তর্জাতিক গেটওয়ে হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এটি আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। জেলার সার্বিক চিত্র বদলে যাবে।

এসি/ আই. কে. জে/ 

ভুটানের রাজা কুড়িগ্রাম অর্থনৈতিক অঞ্চল

খবরটি শেয়ার করুন