মালয়েশিয়ায় জাল পাসপোর্ট বানিয়ে বিক্রি করার একটি চক্র ধরা পড়েছে। দেশটির অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, চক্রটির মূল হোতা অফু ভাই নামে ৩৮ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি। চক্রটি জাল পাসপোর্ট বানিয়ে অনিবন্ধিত অভিবাসীদের কাছে বিক্রি করত।
মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য স্টারের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জউশ জানিয়েছেন, গত শুক্রবার কাজাংয়ে অভিযান চালিয়ে চক্রটি মূল হোতা অফু ভাইসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বলেন, একজন ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন বাংলাদেশি—যিনি অফু ভাই নামে পরিচিত। তাঁকে মূল হোতা বলে মনে করছি আমরা।
সোমবার (১৩ই মে) মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রুসলিন জউশ বলেন, এ ছাড়া গ্রেফতারকৃত এক ফিলিপিনো নারীকে তার সহকারী বলে মনে করা হচ্ছে।
তিনি জানান, অভিযান চালানোর সময় লক্ষ করা যায়, বেশ কয়েকজন বিদেশি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে জানা যায়, তারা চক্রটির কাছ থেকে জাল পাসপোর্ট কিনেছিলেন।
তদন্তে দেখা গেছে, চক্রটি মূলত পুরোনো মেয়াদোত্তীর্ণ আসল পাসপোর্টে বিভিন্ন ব্যক্তির তথ্য জালিয়াতি করে নতুন পাতা যুক্ত করত। রুসলিন জউশ বলেন, পাসপোর্টগুলো আসলই, তবে এতে জাল তথ্য যোগ করা হতো। চক্রটি এসব পাসপোর্টে নতুন করে একটি প্রথম পাতা যুক্ত করত, যেখানে ব্যক্তির সব বিবরণ, যেমন—বাড়ির ঠিকানা, পুরো নাম এবং পাসপোর্টের নম্বর থাকে।
অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জানান, চক্রটি পাসপোর্টের পুরোনো সংস্করণ ব্যবহার করে। এসব পাসপোর্ট পলিকার্বোনেট কাগজ ব্যবহার করে তৈরি করা হয় না, যার ফলে এগুলোতে পাতা পরিবর্তন করা সহজ। তিনি জানান, একেকটি পাসপোর্ট জালিয়াতি করতে এক থেকে দেড় হাজার রিঙ্গিত খরচ হতো।
অভিবাসন বিভাগের কর্মকর্তাদের অনুমান, চক্রটি প্রায় দুই বছর ধরে সক্রিয় ছিল। দুই আসামিকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এবং এই চক্রে অন্য কেউ যুক্ত ছিল কি না তা জানার চেষ্টা চলছে। রুসলিন জউশ বলেন, আমার বিশ্বাস করি যে আরও কয়েকজন এই চক্রের সঙ্গে জড়িত।
ওআ/
খবরটি শেয়ার করুন