বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশন অনুমোদন পেয়েছে ১৪টি, তবে নেই পর্যাপ্ত গাড়ি

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, ২৯শে জুন ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশন যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ, তবে শুরুতেই সৃষ্টি হয়েছে নানা জটিলতা। কোনও কোনও প্রতিষ্ঠান চার্জিং স্টেশন তৈরি করে বসে থাকলেও পর্যাপ্ত গাড়ি পাচ্ছে না। কোনোটির আবার এখনও সার্ভিস চার্জ ঠিক হয়নি। বিইআরসি, স্রেডা, চার্জিং স্টেশনের উদ্যোক্তা ও গাড়ির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের তরফ থেকে দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রচলনের চেষ্টা চলছে। তবে দেশে চার্জিং স্টেশন না থাকায় সাধারণ মানুষ বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনায় খুব আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

মার্সিডিজ বেঞ্জ ও অডি’র মতো দামি ব্র্যান্ডগুলোর বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। অতি সম্প্রতি চীনের ব্র্যান্ড বিওয়াইডি বাংলাদেশের রানার মোটরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গাড়ির বাজারজাত শুরু করেছে। এর বাইরে টয়োটা ও টাটার মতো বহুল পরিচিত গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দেশে হাইব্রিড গাড়ির পাশাপাশি বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারজাত করছে।

উন্নত বিশ্বে, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোতে টেসলা’র মতো নামি ব্র্যান্ডের বৈদ্যুতিক গাড়ি ‘জীবাশ্ম জ্বালানি’র গাড়িকে পেছনে ফেলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর বড় কারণ হচ্ছে—বৈদ্যুতিক গাড়িতে প্রতি কিলোমিটারে চলাচলের খরচ খুবই কম। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হচ্ছে—রাস্তায় বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশন নেই। ফলে চলাচলের পথ দীর্ঘ হলে গাড়ি চার্জ করা কঠিন হয়ে পড়বে। যদিও এখন চীনা ব্র্যান্ড ‘বিওয়াইডি’ ও ‘শাওমি’ গাড়ি একবার চার্জ দিলে ৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সাধারণত বৈদ্যুতিক গাড়ি দুইভাবে চার্জে দেওয়া যায়। বাসার নিচের গ্যারেজে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টায় একটি গাড়ি চার্জ দেওয়া যায়। অপরদিকে চার্জিং স্টেশনগুলোতে একটি গাড়ি চার্জ দিতে ফাস্ট চার্জিং অপশনে ৩০ মিনিট সময় লাগে। এ জন্য হাইওয়ের পাশে পরিকল্পিতভাবে চার্জিং স্টেশন নির্মাণ করা জরুরি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সূত্রে জানা গেছে, প্রথমদিকে এ ধরনের চার্জিং স্টেশন যথেষ্ট লাভজনক না হাওয়ায় সরকারি ভর্তুকির প্রয়োজন হয়। পরবর্তী সময়ে গাড়ির সংখ্যা বাড়লে বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত হয়।

বিইআরসি সম্প্রতি বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং স্টেশনের সার্বিক বিষয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত ১৪টি চার্জিং স্টেশন সরকারের অনুমোদন নিয়েছে।

অনুমোদন পাওয়া ১৪টি  চার্জিং স্টেশন হচ্ছে—রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অডি বাংলাদেশ, ক্যান্টনমেন্টে সুমাত্রা ফিলিং স্টেশন, কুমিল্লায় গুডলাক ফিলিং স্টেশন ও ইস্টজোন ফিলিং স্টেশন, ট্রাস্ট ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন নামে আছে ৫টি, নারায়ণগঞ্জে আরইবি স্টেশন,  চট্টগ্রামে রাউজান ও রাঙ্গুনিয়ায় মাহমুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের ২টি, গাজীপুরে রায়ান্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ১টি এবং যশোরের শার্শায় ইমতিয়াজ অটো এলপি গ্যাস লিমিটেডের ১টি।

আরো পড়ুন : মিয়ানমার থেকেও নিত্যপণ্য আমদানি করতে চুক্তি হচ্ছে

এস/ আই.কে.জে

বাংলাদেশ বৈদ্যুতিক গাড়ি

খবরটি শেয়ার করুন