শনিবার, ১৮ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার যে ব্যাখ্যা দিল এনসিপি *** হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া *** স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র থাকছে জুলাই সনদে, স্পষ্ট হলো নোট অব ডিসেন্ট *** আন্দোলনের অগ্রদূতদের অংশগ্রহণ ছাড়া জুলাই সনদ অর্থহীন: মঈন খান *** জুলাই সনদ স্বাক্ষর বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা: মির্জা ফখরুল *** জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে জাতির সঙ্গে গাদ্দারি হবে: তাহের *** জুলাই যোদ্ধাদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ প্রসঙ্গে যা বললেন সারজিস *** নিহত ফিলিস্তিনিদের দেহ থেকে অঙ্গ চুরি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর *** খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল: এ জেড এম জাহিদ *** নির্বাচন কীভাবে হবে, তা রাজনৈতিক নেতারা ঠিক করবেন: প্রধান উপদেষ্টা

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট

আতঙ্ক নয়, সচেতনতা জরুরি

সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ০৬:০৩ অপরাহ্ন, ১৬ই জুন ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের কয়েকটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট ইতিমধ্যে শনাক্ত হয়েছে। বলা হচ্ছে, এ নতুন ভ্যারিয়েন্ট বেশি সংক্রামক ও দ্রুত বিস্তার করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও নতুন করে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। এ ভাইরাসের কারণে সর্বস্তরে উদ্বেগ বাড়ছে।

নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের  প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সরকারের নির্দেনায় দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া হয়েছে নির্দেশনা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে  রাজধানীসহ দেশের সব জেলা হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য আলাদা শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালগুলোর ব্যবস্থাপনা ও জরুরি সেবার জন্য হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

চীন, থাইল্যান্ড ও ভারতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আমাদেরও চিন্তিত হওয়ার কারণ আছে বৈকি। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কিছু কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা যথেষ্ট নয় বলে আমরা মনে করি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ই মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন এবং ১৮ই মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এরপর আজকের দিন পর্যন্ত সাড়ে ২০ লাখের বেশি লোক আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন সাড়ে উনত্রিশ হাজারের বেশি মানুষ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর উভয়ই মনে করছে, বর্তমানে করোনার সংক্রমণ বাড়লেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, শুধু সচেতনতা জরুরি। ব্যক্তিগত সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। 

তবে জনগণ সচেতন হলেই হবে না। করোনা পরীক্ষা ও টিকা সরবরাহের কাজটি করতে হবে সরকারকেই। জনস্বাস্থ্যবিদরা করোনার সংক্রমণ রোধে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার কিটের মজুত থাকার কথা বললেও বাস্তবে তা নেই।

করোনার সম্ভাব্য বিস্তার রোধে অবিলম্বে পরীক্ষার সরঞ্জাম সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করার বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের মতে, যারা বয়স্ক, অন্তঃসত্ত্বা, ভিন্ন কোনো জটিল রোগে ভুগছেন, তাদের জন্য তো বটেই, এমনকি যেসব ব্যক্তির সর্বশেষ টিকা নেওয়ার মেয়াদ ছয় মাস পার হয়ে গেছে, তাদেরও করোনার টিকা নেওয়া উচিত।

আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ করোনার বিস্তার ঘটার আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। আর জনসচেতনতার কাজটি করতে হবে সর্বস্তরে, সবখানে। প্রচারমূলক কাজে সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি ব্যবহার করতে হবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেও।


করোনাভাইরাস

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250