বুধবার, ২রা এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে নতুন বাংলাদেশে উগ্রবাদ উত্থানের প্রসঙ্গে যা বলা হয়েছে *** নিউইয়র্ক টাইমসের আলোচিত নিবন্ধ নিয়ে যা বলছে সরকার *** সবাই মিলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: খালেদা জিয়া *** শুল্ক নিয়ে কাল কী ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প *** চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে যা হচ্ছে ভারতে *** তাপপ্রবাহের মধ্যে দেশজুড়ে বৃষ্টির কথা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর *** প্রধান উপদেষ্টাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শাহবাজ শরিফের ফোন *** অধ্যাপক ইউনূসকে নরেন্দ্র মোদির ঈদের শুভেচ্ছা *** দেশে এখন শান্তি ফিরিয়ে আনা জরুরি: প্রধান উপদেষ্টা *** এনসিপির সঙ্গে কাজ করার ইঙ্গিত বিএনপির!

এশীয় দেশগুলোর ভাগ্য পরস্পরের সঙ্গে জড়িত: ড. মুহাম্মদ ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০১:১৮ অপরাহ্ন, ২৭শে মার্চ ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

চীনের হাইনান প্রদেশে চলমান বোয়াও ফোরাম অ্যানুয়াল কনফারেন্স-২০২৫ এ ভাষণ দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ফোরামের কি-নোট স্পিকার বা মূল বক্তা ছিলেন তিনি। 

আজ বৃহস্পতিবার (২৭শে মার্চ) সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে  তিনি বলেন, ‘এশিয়াকে চারটি মূল ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে হবে। কেননা এশীয় দেশগুলোর ভাগ্য পরস্পরের সঙ্গে জড়িত।’

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার ভাষণে বলেন, ‘এ ফোরাম এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরিবর্তনশীল বিশ্বে, এশীয় দেশগুলোর ভাগ্য পরস্পরের সঙ্গে জড়িত। আমাদের একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ এবং অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।’ এ ফোরামে এশিয়াকে চারটি মূল ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

প্রথমত, আর্থিক সহযোগিতা। এশিয়াকে একটি টেকসই অর্থায়ন প্রক্রিয়া তৈরি করতে হবে। আঞ্চলিক বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এমডিবি) এবং অনুরূপ প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেওয়া উচিত। এ অঞ্চলের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য নির্ভরযোগ্য তহবিলের প্রয়োজন।

দ্বিতীয়ত, বাণিজ্য সহযোগিতা। এশিয়া এখনো সবচেয়ে কম সমন্বিত অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি। এই দুর্বল সমন্বয় বিনিয়োগ ও বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করে। অবিলম্বে বাণিজ্য সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য কাজ করতে হবে।

তৃতীয়ত, খাদ্য ও কৃষি সহযোগিতা। এ অঞ্চলে সম্পদ-সাশ্রয়ী চাষাবাদকে উৎসাহিত করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে এবং স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে। প্রযুক্তি-ভিত্তিক টেকসই কৃষি সমাধান এবং পুনর্জন্মমূলক ও জলবায়ু-স্মার্ট কৃষিতে উদ্ভাবন সম্প্রসারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চতুর্থত, প্রযুক্তি সহযোগিতা। এশিয়াকে একটি শক্তিশালী প্রযুক্তি ইকোসিস্টেম তৈরি করতে হবে, যা পুনরুদ্ধারমূলক, বিতরণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া উচিত।  প্রযুক্তি ইনকিউবেশন ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ করতে হবে। ডিজিটাল সমাধানের ওপর সহযোগিতা অগ্রগতিকে চালিত করবে।

বক্তব্যের শেষে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমি সব সময় বলি, প্রতিটি যুবক-যুবতীর ‘থ্রি-জিরো বা তিন-শূন্য’ ধারণা সংবলিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে বেড়ে ওঠা উচিত—শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ এবং সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে উদ্যোক্তা হয়ে শূন্য বেকারত্ব। এটাই সেই অভিন্ন ভবিষ্যৎ, যা আমাদের এশিয়ায় একসঙ্গে তৈরি করতে হবে।

বোয়াও ফোরামে প্রধান উপদেষ্টা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন