শুক্রবার, ১০ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** মাহফুজ-সারজিসরা গণ–অভ্যুত্থানের প্রকৃত নায়ক নন, যা বললেন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম *** মানুষের শরীরে শূকরের যকৃৎ, চীনা চিকিৎসকদের সাফল্য *** দায়মুক্তি পাচ্ছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮টি ধারার মামলার আসামিরা *** নোবেল না পেলে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া কী হবে—শঙ্কিত নরওয়ে *** অবশেষে গাজায় শান্তির আভাস, শান্তিচুক্তি সই *** সেফ এক্সিটকে সন্দেহের চোখে দেখছে বিএনপি, বিব্রত কোনো কোনো উপদেষ্টা *** থেমেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান–কামানের গর্জন, ২ বছর পর শান্তির ঘুমে গাজাবাসী *** জামায়াতে ৪৩ শতাংশ নারী—এটা খুশির খবর, কিন্তু তাদের দেখা যায় না: শারমীন মুরশিদ *** তহবিলসংকটের কারণে এক-চতুর্থাংশ শান্তিরক্ষী কমাচ্ছে জাতিসংঘ *** খালেদা জিয়ার সেফ এক্সিটের দরকার পড়েনি: রিজভী

নবীজি (সা.) ঘুমানোর আগে যে সুরা তেলাওয়াত করতেন

ধর্ম ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:২০ অপরাহ্ন, ১৫ই অক্টোবর ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

নবীজি (সা.) রাতে সুরা মুলক তেলাওয়াত না করে ঘুমাতেন না। এ সুরা তেলাওয়াতকারীকে কবরের আজাব থেকে মুক্তি দিবে বলে হাদিসে পাওয়া যায়। কবরের আজাব অত্যন্ত ভয়াবহ। মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণী কবরের আজাব বুঝতে পারে, শুনতে পারে।

নবীজি (সা.) বলেন, মানুষ দাফন করতে ভয় পাবে; নইলে আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতাম, তিনি যেন তোমাদের কবরের আজাব শোনান।

নবীজি সা. কী ভাষায় কবরের আজাব থেকে পানাহ চাইতেন তা-ও বর্ণিত হয়েছে হাদিস শরিফে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়ায় বলতেন, ‘হে আল্লাহ! আমি কবরের আজাব থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। জাহান্নামের শাস্তি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আরও আশ্রয় প্রার্থনা করছি, জীবন-মৃত্যু ও দাজ্জালের ফিতনা থেকে। (বুখারি ১৩৭৭)।

সুরা মুলক-এর ফজিলত

কবরের আজাব থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনার সাথে সাথে একটি আমলও আমাদেরকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করবে। তা হলো, সুরা মুলকের আমল। এ সুরা তার আমলকারীর জন্য কবরের আজাবের সামনে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াবে। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন (সুরা মুলকের আমলকারী) ব্যক্তিকে যখন কবরে রাখা হবে, (আজাবের) ফিরিশতারা তার পায়ের দিক থেকে আসবে; তখন পা বলবে, এদিক দিয়ে তোমরা তার পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না। সে (আমার ওপর ভর করে) নামাজে দাঁড়িয়ে সুরা মুলক তিলাওয়াত করত।

আরো পড়ুন : অবাধ্য সন্তানকে অনুগত করার দোয়া

এরপর বুক অথবা পেটের দিক থেকে এলে তা বলবে, এদিক থেকেও তোমরা তাকে কিছু করতে পারবে না; সে তো সুরা মুলক তিলাওয়াত করত (আমার মাঝে সুরা মুলক ধারণ করত)। মাথার দিক থেকে এলে বলবে, আমার দিক থেকেও তোমাদের তার পর্যন্ত পৌঁছা সম্ভব নয়; সে তো সুরা মুলক তিলাওয়াত করত (আমার মাঝে সুরা মুলক সংরক্ষণ করত)।

হজরত ইবনে মাসউদ রা. বলেন, যে ব্যক্তি রাতে এ সুরা তিলাওয়াত করল সে অনেক ভালো ও বড় কাজ করল। (মুসতাদরাকে হাকেম ৩৮৩৯)।

নবীজি রাতে সুরা মুলক তিলাওয়াত না করে ঘুমাতেন না। নবীজি সা. অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে সুরা মুলক তিলাওয়াত করতেন। হজরত জাবের (রা.) বলেন, নবীজি সুরা সাজদাহ ও সুরা মুলক তিলাওয়াত না করা পর্যন্ত ঘুমাতেন না। (জামে তিরমিজি ৩৪০৪, মুসনাদে আহমাদ ১৪৬৫৯)।

রাসুল সা. আমাদেরকে কবরের আজাব থেকে পানাহ চাইতে বলেছেন। যায়েদ ইবনে সাবেত (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, ‘তোমরা কবরের আজাব থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা কর।’ (মুসলিম ২৮৬৭)।

রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও কবরের আজাব থেকে পানাহ চাইতেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, একবার এক ইহুদি নারী তার কাছে এলো। সে কবরের আজাব প্রসঙ্গে আলোচনা করল এবং বলল, আল্লাহ আপনাকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করুন। নবীজি এলে আয়েশা (রা.) তাকে কবরের আজাব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। নবীজি উত্তরে বললেন, হাঁ, কবরের আজাব (সত্য)। আয়েশা (রা.) বলেন, এর পর থেকে আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে দেখেছি, প্রতি নামাজের পরই তিনি কবরের আজাব থেকে পানাহ চাইতেন। (বুখারি ১৩৭২)।

এশার পর যে সুরা পাঠ করবেন

সুরা মুলক রাতের বেলা পাঠ করা উত্তম। সাধারণত আলেমরা এশার নামাজের পর সুরা মুলক পাঠ করার কথা বলেন। বিলম্বে কিংবা বিছানায় শুয়ে পাঠ করাও জায়েজ আছে। হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ততক্ষণ পর্যন্ত ঘুমাতেন না, যতক্ষণ না সুরা আলিফ লাম মিম তানজিল, সুরা মুলক পড়ে নিতেন। (তিরমিজি ২৮৯২)।

এস/ আই.কে.জে/

 

নবীজি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250