শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শখের বসে আঙুর চাষ করে তাক লাগিয়ে দিলেন রিকশাচালক

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৪০ অপরাহ্ন, ১৯শে জুন ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়িতে ময়নুল ইসলাম নামের এক রিকশাচালক শখের বসে লাগিয়েছেন আঙুর গাছ। তার গাছে বাম্পার ফলন হয়েছে। বাড়ির টিনের চালার ওপরে মাচায় থোকায় থোকায় ঝুলে আছে আঙুর। যা নজর কাড়ছে সবার। স্বাদ ও আকারে কিছুটা পার্থক্য থাকলেও শখের বসে লাগানো গাছে ধরা ফলটি দেখতে বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে।

ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার রাজবাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করেন রিকশাচালক ময়নুল ইসলাম। দুই বছর আগে ২০২২ সালে স্থানীয় একটি নার্সারি থেকে একটি আঙুরের চারা এনে বাড়ির কোণে রোপণ করেছিলেন। গত বছর গাছে দেখা মেলে ফলের। এক বছর বয়সী গাছ থেকে এসেছিল প্রায় এক মণ আঙুর। এ বছর দ্বিগুণ ফল এসেছে। লাল মাটিতে আঙুরের বাম্পার ফলন তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে।

আরো পড়ুন : আঙুর চাষে সফল হয়েছেন গাজীপুরের সবুজ

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির বারান্দায় টিনের চালার ওপর থোকায় থোকায় ঝুলে আছে আঙুর। টিনের ওপরে বাঁশের মাচা তৈরি করেছেন। ফলের ভারে ঝুলে পড়েছে গাছের লতাগুলো। বাজারের তুলনায় গাছটিতে থাকা আঙুরের আকার কিছুটা ছোট। স্বাদেও রয়েছে কিছুটা ভিন্নতা। বাড়িতে আঙুরের গাছ দেখতে এবং খেতে আসছেন আশপাশের অনেকে।

দেখতে আসা আব্দুল আলিম বলেন, আমাদের এলাকায় আঙুরের এমন ফলন দেখে আমি অবাক। বাজার থেকে যে আঙুর কিনে খাই, সেই তুলনায় এটি কিছুটা টক। তবে যে পরিমাণ ধরেছে দেখতে ইচ্ছে করছে।

ময়নুল ইসলাম বলেন, গতবার কাঁচা থাকতেই সব আঙুর প্রতিবেশী ও স্বজনদের খাইয়েছি। এবারও আমি আঙুর বাজারে বিক্রি করবো না। পরিপক্ব হলে সবার মাঝে বিলিয়ে দেবো। এটি আমার শখের ফল। অনেকে দেখার জন্য আমার বাড়িতে আসছেন। আগামীতে বাণিজ্যিকভাবে চাষের পরিকল্পনা আছে।

এস/ আই.কে.জে/

রিকশাচালক আঙুর চাষ

খবরটি শেয়ার করুন