ছবি: সংগৃহীত
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২৭ ট্রাকে ৬৯৪ টন আলু আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত আলুগুলো পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার থেকে আমদানি করা হচ্ছে। ২০০ থেকে ২৫০ মার্কিন ডলারে প্রতি কেজি আলু আমদানি হচ্ছে।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন।
এদিকে আমদানি হলেও পাইকারী ও খুচরা বাজারে দাম কমেনি আলুর দাম। হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে ছোট আলু ৪০ টাকা এবং বড় আলু ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মোকামে আলুর সংকটের কারণে দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (১৬ই এপ্রিল) দুপুরে হিলির বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
হিলি বাজারে আলু কিনতে আসা আশরাফ তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, আলু প্রতিদিন খাবারের তালিকাতে রাখতে হয়। যার জন্য আলুর চাহিদা অনেক বেশি। তবে প্রতিদিন যেভাবে আলুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে করে আলু খাওয়া বাদ দিতে হবে।
আরো পড়ুন: ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা: নিহতদের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা
গত সপ্তাহে আলু কিনেছিলাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যেই। এখন সেই আলু কিনতে হলো ৫০ টাকা দরে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়ার কারণে এমন করে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর জোর দাবি জানান এ ক্রেতা।
হিলি বাজারের আলু ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম মনির গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের আলুর অধিকাংশই কৃষকরা স্টোরে রেখে দিয়েছে। যার ফলে মোকামে আলুর সংকট দেখা দিচ্ছে। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি।
বর্তমানে দেশি আলু ৪৫ থেকে ৫০ টাকার মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে। অনেক সময় প্রশাসন আমাদের খুচরা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে কিন্তু মোকামে তো অভিযান পরিচালনা করে না। যদি প্রশাসন মোকামে অভিযান পরিচালনা করতো তাহলে আলুর দাম অনেকটাই কমে যেতো।
এইচআ/