ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমেরিকা এসে পৌঁছেছেন আফ্রিকানার গোষ্ঠীর ৫৯ জন শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান। গতকাল সোমবার (১২ই মে) ওয়াশিংটন ডিসির কাছে ডালাস বিমানবন্দরে অবতরণ করে আফ্রিকানারদের বহনকারী উড়োজাহাজ। সে সময় বিমানবন্দরে এ শ্বেতাঙ্গদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায় আমেরিকান কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।
সাধারণত আমেরিকায় শরণার্থী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর বছর লেগে যায়, কিন্তু এ দলের ক্ষেত্রে তা দ্রুত সম্পন্ন হয়েছে। সাধারণত এ প্রক্রিয়া জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের অধীনে সম্পন্ন হয়। তবে আফ্রিকানারদের ব্যাপারে তারা কোনো ভূমিকা রাখেনি বলে বিবিসিকে জানিয়েছে সংস্থাটি।
আফ্রিকানারদের এত দ্রুত শরণার্থীর মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, দক্ষিণ আফ্রিকার সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গ সম্প্রদায়—আফ্রিকানারদের শরণার্থী আবেদন দ্রুততার সঙ্গে প্রক্রিয়া করা হয়েছে, কারণ তারা জাতিগত বৈষম্যের শিকার। গতকাল সোমবার এ বিষয়ে তাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ কৃষ্ণাজ্ঞদের লক্ষ্যবস্তু করে গণহত্যা চালানো হচ্ছে। তারা বর্ণবাদের শিকার। তাই তাদের শরণার্থী আবেদন দ্রুত সম্পন্ন করা হয়েছে।’
তবে ট্রাম্পের এমন দাবিকে সম্পূর্ণ অসত্য বলছে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার। দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেন, ‘এ গোষ্ঠী এমন কোনো নিপীড়নের শিকার নয়, যা তাদের শরণার্থীর মর্যাদা পাওয়ার উপযুক্ত করে তোলে। রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা অর্থনৈতিক নিপীড়নের কারণে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হলেই কেবল একজন ব্যক্তিকে আপনি শরণার্থী বলতে পারেন। আফ্রিকানাররা সেই মানদণ্ডে পড়েন না।’
দক্ষিণ আফ্রিকার অভ্যন্তরীণ নীতি বিশেষ করে শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের জমি অধিগ্রহণ নীতির সমালোচনা করছে আমেরিকা। উল্লেখ্য, চলতি বছর জানুয়ারিতে একটি বিতর্কিত আইন স্বাক্ষর করেন রামাফোসা, যার মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে সরকার জনগণের স্বার্থে ন্যায্য বিবেচনায় বেসরকারি মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণ করতে পারবে। এ আইনের অধীনে এখন পর্যন্ত কোনো জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন