সোমবার, ১লা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিকশাচালকের পা ভেঙে দেওয়া ট্রাফিক পুলিশ প্রত্যাহার

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:০২ অপরাহ্ন, ১৯শে মে ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

সাভারে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে এক রিকশাচালকের পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। 

ভুক্তভোগীর পরিবার জানিয়েছে, এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ নিচ্ছে না পুলিশ।

শনিবার (১৮ই মে) সকালে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অপস ও ট্রাফিক) আব্দুল্লাহিল কাফি ওই ট্রাফিক পুলিশকে প্রত্যাহারের বিষয়টি জানিয়েছেন। 

অভিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যর নাম মো. সোহেল রানা। তিনি ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক বিভাগের রেকার চালক। 

আহত রিকশাচালকের নাম মো. ফজলু। তিনি দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানার বনসাপুর এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি সাভারের রাজাশনে ভাড়া বাসায় থাকেন। 

শুক্রবার (১৭ই মে) সকাল ১১টার দিকে সাভারের গেন্ডা এলাকায় রিকশাচালক মো. ফজলু মিয়াকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে রেকার চালক মো. সোহেল রানা। এ সময় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে সাভার সুপার ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।

আরো পড়ুন : প্রতিবন্ধী বাবার কন্যা হালিমা পেলেন জিপিএ-৫, তবুও অনিশ্চিত কলেজ ভর্তি

ভুক্তভোগী ফজলু গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক দিয়ে ঢাকামুখী লেন দিয়ে যাচ্ছিলাম। এসময় পাকিজার সামনে থেকে মোটরসাইকেল যোগে র‌্যাকার চালক সোহেলসহ দুই জন ধাওয়া করেন। রিকশা থামাতে বললে সাইড করে থামাই। এরপর তিনি লোহার রড দিয়ে প্রথমে বাম পায়ে আঘাত করেন। আমি হাত দিয়ে প্রতিহত করতে চাইলে ডান পা পিটিয়ে ভেঙে দেন। এতে পড়ে গেলে আর উঠে দাঁড়াতে পারি নাই। পেটানো দেখে স্থানীয়রা এসে ওই পুলিশকে ঘিরে ধরে। 

ফজলু জানান, স্থানীয়দের দেখে ট্রাফিক পুলিশ সোহেল সবার উদ্দেশ্য বলেন, আমি ভুল করেছি, এখন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করতে দেন। পরে স্থানীয়রা চলে যায়। কিন্তু আমাকে অপর একটি রিকশায় তুলে দিয়ে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে তিনিও চলে যান। আমি এর বিচার চাই।

রুবেল নামে আরেক রিকশাচালক জানান, ফজলুকে নিয়ে সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার সময় র‌্যাকার চালকদের সঙ্গে থেকে অটোরিকশা আটক করা দুই দালাল আবারো গতিরোধ করেন। পরে অন্য রিকশাচালকরা বিষয়টি জানতে পেরে প্রেস ক্লাবের সামনে থানা রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।  

তিনি আরও বলেন, ট্রাফিক পুলিশের সোহেল প্রতি সপ্তাহে রিকশা ধরে দুই হাজার টাকা আদায় করেন। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এস/ আই.কে.জে

পুলিশ রিকশাচালক

খবরটি শেয়ার করুন