বুধবার, ২৩শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য’ সংহত করতে ৪ দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক *** লিটন দাস জয় উৎসর্গ করলেন নিহতদের স্মরণে *** সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতে সিরিজ বাংলাদেশের *** বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের সব দাবি যৌক্তিক বলে মনে করে সরকার *** বিএনপি-জামায়াতসহ চার দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা *** প্রধানমন্ত্রী দলীয় প্রধান হতে পারবেন না—এই দাবির যৌক্তিকতা নেই: সালাহউদ্দিন *** আখের চিনি দিয়ে ‘ট্রাম্প ভার্সন’ বাজারে আনছে কোকা-কোলা *** বিমান বিধ্বস্তে হতাহতদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে সরকার: প্রেস উইং *** ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি, ফিরেছেন বাসায় *** জাকেরের ফিফটিতে পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

রাজমিস্ত্রির মেয়ে চান্স পেলেন মেডিকেলে, পরিবারের সঙ্গে খুশি এলাকাবাসীও

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জানুয়ারী ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে টিফিনের টাকা জমিয়ে ফরম কিনেন নুরনাহার অন্তরা। সেই পরীক্ষায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন তিনি। গোপালগঞ্জের মেয়ে অন্তরা এখন অর্থাভাবে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তার বাবা পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। দিনে যা আয় করেন তা দিয়েই চলে তাদের চার সদস্যের সংসার। তার পক্ষে মেয়ের মেডিকেল কলেজে ভর্তির খরচ বহন ও পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই নুরনাহারের এমন সাফল্যের পরও দুশ্চিন্তায় পরিবার। 

ছোটবেলা থেকেই নুরনাহার অন্তরা পড়ালেখায় বেশ ভালো। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া এলাকার রুকু মল্লিক ও পারুল বেগমের বড় মেয়ে অন্তরা ২০২২ সালে জেলা শহরের সরকারি বীনাপানি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। ২০২৪ সালে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি উত্তীর্ণ হন। গত ১৭ই জানুয়ারি দেশব্যাপী মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় টিফিনের জমানো টাকা দিয়ে ফরম কিনে অংশগ্রহণ করেন। ২০শে জানুয়ারি ফলাফল ঘোষণার পর জানতে পারেন, তিনি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন। 

নুরনাহার বলেন, টিফিনের টাকা জমিয়ে আমি ফরম কিনে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। ফলাফল ঘোষণার পর জানতে পারি, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছি। এ ঘটনায় আমিসহ আমার পরিবার ভীষণ খুশি। তবে মেডিকেলে ভর্তিসহ পড়াশোনার যে খরচ, তা আমার পরিবারের পক্ষে চালানো সম্ভব নয়। আমি মেডিকেলে পড়াশোনা করে একজন ভালো ডাক্তার হতে চাই। আমার এই স্বপ্ন যেন ভেঙে না যায় এ জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ, সরকার যেন আমার পাশে দাঁড়ায়। 

নুরনাহারের মা পারুল বেগম বলেন, আমার মেয়ে ছোট থেকেই  অনেক মেধাবী। শহরের একটি ভালো স্কুলে ভর্তির চান্স পাওয়ার পর আমরা বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলাম কিভাবে পড়ালেখার খরচ জোগাব। তখন ওর মেধা দেখে স্কুলের শিক্ষকরা আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে, আপনার মেয়ের পড়ালেখা চালিয়ে যান। স্কুলের শিক্ষকরা আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছেন। সে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে- এই খবর শোনার পর গর্বে আমার বুকটা ভরে গেছে। আমার মেয়ে ডাক্তার হবে, মানুষের সেবা করবে ভাবতেই আমাদের অন্যরকম লাগে। 

আরও পড়ুন: আখাউড়া দিয়ে প্রথমবার ভারত থেকে আমদানি হলো মসুর ডাল

নুরনাহার অন্তরার বাবা রুকু মল্লিক বলেন, আমি এই বৃদ্ধ বয়সেও রাজমিস্ত্রির কাজ করি। কষ্ট হলেও মেয়ের পড়ালেখা কখনো বন্ধ করিনি। আমার মেয়ে মেডিকেলে পড়ালেখা করবে জানতে পেরে বুকটা ভরে গেছে। যতই কষ্ট হোক তাকে আমি একজন ভালো ডাক্তার বানাতে চাই। সে যেন ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে পারে। 

এ বিষয়ে নুরনাহারের প্রতিবেশী গৌরাঙ্গ বলেন, তার এমন সাফল্যে আমরা এলাকাবাসী গর্বিত। এলাকাবাসীর মধ্যেও খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। আমরা তার পাশে আছি। তাদের সব ধরনের সাপোর্ট দিয়ে যাব।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আমরা দ্রুতই ওই শিক্ষার্থীর খোঁজখবর নিয়ে তাকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করবো। 

এসি/ আই.কে.জে/                


মেডিকেল

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন