ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বকাপ তো প্রায় চলেই এসেছে। আর সাত মাসও বাকি নেই। জাতীয় দল, খেলোয়াড়, সংশ্লিষ্ট ক্লাব—সবাই এখন বিশ্বকাপকে ঘিরে নিজেদের প্রস্তুতি আর পরিকল্পনা গোছাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) ইন্টার মায়ামি তাই আগেভাগেই খেলোয়াড়দের ২০২৬ সালের সূচি দিয়ে দিয়েছে। ফলে লিওনেল মেসিও এখন ভালো করে জানেন, বিশ্বকাপ পর্যন্ত তার পথটা কেমন হবে, কোন ধাপগুলো তাকে পেরোতে হবে।
২০২৬ সালে ইন্টার মায়ামির সবচেয়ে বড় ঘটনা হবে মায়ামি ফ্রিডম পার্কের উদ্বোধন। দিনক্ষণ ঠিক—৪রা এপ্রিল। ওই দিন টানা পাঁচটি অ্যাওয়ে ম্যাচ শেষে ঘরে ফিরে অস্টিনের বিপক্ষে খেলবে ইন্টার মায়ামি। নতুন স্টেডিয়ামের উদ্বোধন হবে ওই ম্যাচেই।
বছরের আরেকটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত হবে ২০শে সেপ্টেম্বর। সেদিন সান দিয়েগোর বিপক্ষে খেলবে ইন্টার মায়ামি। এমএলএসের নতুন সদস্য হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়ার এই দল সূচিতে নতুন উত্তাপ যোগ করেছে।
লিগ কর্তৃপক্ষ মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা আর বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বিরতির সময়সূচিও জানিয়ে দিয়েছে। ফেব্রুয়ারি থেকে মে—এই সময়ে ইন্টার মায়ামি খেলবে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে। আর বিশ্বকাপের কারণে বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট-সংক্রান্ত বিরতি থাকবে ১১ই জুন থেকে ১৯শে জুলাই।
এপ্রিল মাসটা ইন্টার মায়ামির বেশ ব্যস্ততায় কাটবে। পরপর দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে তারা ১৮ই এপ্রিল যাবে কলোরাডো, তারপর ২২শে এপ্রিল ইউটাহ। দুটি মাঠই বেশ উঁচুতে। আবহাওয়াও অনিশ্চিত। এই দুটি বিষয় খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে, এটা সবাই জানে।
এদিকে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনও (এএফএ) বিশ্বকাপের আগে তাদের সম্ভাব্য ম্যাচগুলোর তারিখ জেনে গেছে। ২৩শে থেকে ৩১শে মার্চের মধ্যে স্পেনের বিপক্ষে হবে ফাইনালিসিমা, সম্ভাব্য ভেন্যু লুসাইল। আর জুনের প্রথম সপ্তাহে ১১ই জুনের প্রথম ম্যাচের আগে এক-দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি ম্যাচ রাখার কথা রয়েছে। বিশ্বকাপের ড্র হবে ৫ই ডিসেম্বর।
তবে সম্ভাব্য এই ম্যাচগুলো সরিয়ে রাখলে এবং আর্জেন্টিনার অন্য প্রস্তুতি ম্যাচ বাদ দিলেও মেসি নিশ্চিতভাবে বিশ্বকাপের আগে কমপক্ষে ১৬টি ম্যাচ খেলবেন। এর মধ্যে ১৫টি ইন্টার মায়ামির হয়ে এবং ১টি আর্জেন্টিনার হয়ে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন