কাপ্তাই হ্রদের পানি কিছুটা কমে আসায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট।
সোমবার (১৬ই সেপ্টেম্বর) সকাল আটটায় জলকপাট বন্ধ করে দেয়া হয়।
হ্রদের পানি বিপদসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় গত শনিবার সন্ধ্যায় বাঁধের ১৬টি গেইট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেয়া হয়। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নির্গত হয়। এদিকে জলকপাট বন্ধ করা হলেও বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট চালু রেখে ২১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। আজ সকালে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর রেকর্ড করা হয়েছে ১০৮.৩৭ এমএসএল(মিনস সি লেভেল)। হ্রদের সর্বোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯এমএসএল।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবদুজ্জাহের সুখবরকে বলেন, পানি কিছুটা কমে আসায় বাঁধের জলকপাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যে পানি ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে ধীরে ধীরে হ্রদের পানি কমে আসবে।
এদিকে পানি কিছুটা কমলেও এখনো পানিবন্দি হয়ে রয়েছে জেলার প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। রাঙামাটি সদর, লংগদু, নানিয়ারচর, বরকল, জুরাছড়িসহ অন্যান্য উপজেলার নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন পানিবন্দিরা।
ওআ/