ছবি: সংগৃহীত
ভোলা জেলার চরাঞ্চলের মাটি উর্বর হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর ক্যাপসিকামসহ অন্যান্য সবজির ব্যাপক ফলন হয়েছে। তাই চরের বিস্তীর্ণ জনপদে ফসলের ক্ষেতে এখন শুধু সবুজ আর সবুজের সমারোহ।
বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে রয়েছে ক্যাপসিকাম, শসা, বরবটি, চিচিঙ্গা, করলা, লাউ, টমেটো, খিরা, মিষ্টি কুমড়া ও শিম। ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা।
ভোলা সদর উপজেলার মাঝের চর, রাজাপুর, বড়াইপুর, রামদাসপুর, চর চটকিমারা, চর হোসেন, দৌলতখান উপজেলার মদনপুর চর, মাঝের চর, বোরহানউদ্দিনের চর লতিফ, গঙ্গাপুর চর, চর ব্যারেট, চর ছমিরউদ্দিন, লালমোহনের কচুয়াখালী চর, চর শাহজালাল, তজুমদ্দিন উপজেলার চর জহিরউদ্দিন, মনপুরার চর কলাতলি, ঢালচর, বদনার চর এবং চরফ্যাশনের কুকরি-মুকরি, ঢালচর, চর পাতিলাসহ বিভিন্ন চরে ধানের পাশাপাশি সবজির চাষ চলছে বছরের পর বছর।
এসব চরে এ বছর শত শত হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হয়েছে। এখানকার সবজি স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে নৌ পথে চলে যায় ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকারী বাজারে।
ভোলার মাঝের চরের উৎপাদিত ক্যাপসিকাম দেশের বাইরেও রপ্তানি হচ্ছে। যা এখানকার চরাঞ্চলের কৃষি খাতকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলছে।
দৌলতখানের মদনপুর চরের কৃষক হেলালউদ্দিন জানিয়েছেন, বিগত বছরের মতো এ বছরও মদনপুরে সবজির ব্যাপক আবাদ হয়েছে। এখানকার দুই শতাধিক চাষী সবজি আবাদ করছেন। তাদের সবার ক্ষেতের ফসলই ভালো হয়েছে এবং এতে তারা বেশ খুশি। স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দস্তগীর সিকদার বলেন, চরের জমিতে এখন ফসলের সমারোহ। এবার ফসলের ক্ষেতে শসা, খিরা, চিচিঙ্গাসহ সবজির চাষ আশানুরূপ হয়েছে। এখানকার সবজি ভোলা শহরসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে।
সবজি চাষী মো: আলাউদ্দিন বলেন, এ বছর তিনি দুই একর জমিতে চিচিঙ্গার চাষ করেছেন। এ পর্যন্ত আড়াইলাখ টাকার সবজি বিক্রি হয়েছে। আবাদ করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৪ লাখ টাকা। সামনে আরো ৫ লাখ টাকার সবজি বিক্রি হবে বলে আশা করেন।
আরও পড়ুন: টমেটো-আলু-শিমের কেজি ২০, চার ঘণ্টায় বিক্রি ১০ লাখ টাকা
এসি/ আই.কে.জে