ছবি: সংগৃহীত
হাজার হাজার বছর ধরে মানুষের কাছে সোনার মূল্য অপরিসীম। সোনা পৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান এবং আকর্ষণীয় ধাতু। সোনাকে গহনা, মুদ্রা এবং নানা অলঙ্কার তৈরিতে ব্যবহার করে আসছে মানুষ। সোনার গহনার উপর কখনো মরিচা ধরে না। এর পেছনে রয়েছে কিছু বৈজ্ঞানিক কারণ যা সোনাকে অনন্য করে তুলেছে।
সোনা মৌলিক পদার্থ, যার রাসায়নিক প্রতীক হলো Au (ল্যাটিন শব্দ ‘Aurum’ থেকে এসেছে)। সোনা খুবই স্থিতিশীল ধাতু, যা সাধারণত অন্য কোনো পদার্থের সাথে সহজে বিক্রিয়া করে না। ধাতুর মরিচা ধরার প্রধান কারণ হলো অক্সিডেশন। যখন ধাতু বাতাসে থাকা অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে, তখন মরিচা ধরে।
যেমন লোহা অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে আয়রন অক্সাইড তৈরি করে, যা আমরা মরিচা হিসেবে চিনি। সোনা অক্সিজেনের সাথে সহজে বিক্রিয়া করে না। এর কারণ সোনার পারমাণবিক গঠন খুবই স্থিতিশীল এবং এর পরমাণুর বাইরের শক্তিস্তর ইলেকট্রন শেল সম্পূর্ণ পূর্ণ থাকে। সোনা অন্যান্য অনেক রাসায়নিক পদার্থের সাথেও বিক্রিয়া করে না।
আরও পড়ুন: অবশেষে ৫ জিবি করে ইন্টারনেট ডাটা পাচ্ছেন গ্রাহকরা
সাধারণত অ্যাসিড, ক্ষার এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসলেও সোনা অপরিবর্তিত থাকে। এটি সোনাকে আরও দীর্ঘস্থায়িত্ব দেয়। সোনার আরেকটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এটি নিজেই উজ্জ্বল এবং চকচকে হয়, যা কোনো প্রকার পলিশিং ছাড়াই স্থায়ী থাকে। অন্য ধাতুর মতো সোনাকে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হয় না।
এই কারণে সোনা বিভিন্ন ব্যবহারের জন্য খুবই জনপ্রিয়। গহনা থেকে শুরু করে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক সংযোগ এবং অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে সোনার ব্যবহার ব্যাপক। এটি শুধু সৌন্দর্যের জন্যই নয়, বরং এর স্থায়িত্ব এবং অন্যান্য ধাতুর সাথে বিক্রিয়া না করার কারণে অত্যন্ত মূল্যবান।
এই কারণেই সোনা হাজার বছর ধরে মানুষের কাছে আকর্ষণীয় এবং মূল্যবান ধাতু হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
সূত্র: হাউ ইট ওয়ার্কস
এসি/ আই.কে.জে/