ছবি: সংগৃহীত
২০২১ সালে আমেরিকার ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৬০০ জনকে ক্ষমা ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এর আগে সোমবার (২০শে জানুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে ক্যাপিটল ওয়ান এরেনায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভাষণ দেয়ার সময় ৬ই জানুয়ারির ঘটনায় অভিযুক্তদের ক্ষমা করার ঘোষণা দেন তিনি। সেসময় উপস্থিত জনতার মধ্য থেকে আনন্দধ্বনি শোনা যায়। একজন নারী চিৎকার করে বলছিলেন, 'ফ্রিডম!' বা (স্বাধীনতা)।
এদিকে ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, ক্যাপিটল হিল আক্রমণের জন্য জেলবন্দি ব্যক্তিদেরকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘রাজনৈতিক বন্দি’ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন এবং তিনি তাদেরকে ক্ষমা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যদিও এটি পরিষ্কার নয় যে, এই ক্ষমা কতদূর পর্যন্ত যাবে এবং দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদেরকেও এই ক্ষমার অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি-না। ২০২১ সালের ৬ই জানুয়ারি আমেরিকার ক্যাপিটল হিলে হামলা চালায় ট্রাম্পের সমর্থক একদল মানুষ। ট্রাম্পপন্থী বিক্ষোভকারীদের কংগ্রেস ভবনে ওই হামলার ঘটনায় অন্তত পাঁচ জন নিহত হয়েছিলেন। ডেমোক্রেটরা ওই হামলায় উস্কানি দেয়ার জন্য ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের উদ্যোগ নিয়েছিলো। পরে সিনেটে দুই তৃতীয়াংশ ভোট না থাকায় ট্রাম্প শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে যান।
এদিকে দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক ব্যক্তিদের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমা করে নির্বাহী আদেশে সই করায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার সময় ডেমোক্রেটিক হাউজ স্পিকার ছিলেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেলোসি বলেন, এই পদক্ষেপ দেশের ‘বিচার ব্যবস্থা এবং শারীরিক ক্ষত ও মানসিক ট্রমার সম্মুখীন হওয়া মানুষদের প্রতি অত্যন্ত অবমাননাকর।’ তিনি বলেন যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওই সিদ্ধান্ত ‘লজ্জাজনক’ এবং যেসব পুলিশ কর্মকর্তা সেদিন জীবনবাজি রেখে কাজ করেছেন, তিনি (ট্রাম্প) সেসব পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছেন।