ছবি: সংগৃহীত
রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে সরকার। একইসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের দ্বিতীয় দিন চলমান। এমন পরিস্থিতিতে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকার সড়কগুলো ফাঁকা দেখা গেছে। সকাল থেকে রাস্তায় গণপরিবহন একেবারেই দেখা যায়নি। রিকশা, মোটরযুক্ত রিকশা আর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে লোকজন গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। তবে বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
উত্তরা ও বিমানবন্দর থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়ক, মোহাম্মদপুর, গাবতলী, আসাদ গেট, ফার্মগেট, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান, পল্টন, শাহবাগ, তেজগাঁও এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার সকালে বিমানবন্দর থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়কের একটি পয়েন্টেও কোনো ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি। এসব এলাকার দোকানপাট অধিকাংশ বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন সেনাপ্রধান
রাজধানীর আদাবর এলাকা থেকে কারওয়ান বাজার এসেছেন আছিফ আকমাম। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, পুরো রাস্তা ফাঁকা। গণপরিবহন নেই। খুব বেশি মানুষজনও বের হয়নি। আসাদ গেট ও গণভবনের সামনের রাস্তায় কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। মোড়ে মোড়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পরে গলিপথ দিয়ে হেঁটে এসেছি।
মৌচাক এলাকা থেকে তেজগাঁও সাতরাস্তা যাচ্ছেন সামিয়া খান। রিকশায় উঠার সময় তিনি বলেন, এই রাস্তায় স্বাভাবিক সময়ে বাসে যাতায়াত করি। ১০ টাকায় পৌঁছে যাই। কিন্তু আজ ১০০ টাকা গুনতে হচ্ছে।
মধুবাগ থেকে হেঁটে বাংলামোটর যাচ্ছেন আবেদ আলী। তিনি বলেন, কারফিউ চলছে। গাড়ি ঘোড়াও কম। রিকশা চলছে কিন্তু ভাড়া অনেক বেশি। তাই হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছি।
এসি/ আই.কে.জে/