ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় স্লোগানে স্লোগানে মাঠ কাঁপানো সিঁথি পান বাঘিনী কন্যার তকমা। আন্দোলনের সময় বেশ কিছু শিক্ষার্থী স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন ফারজানা সিঁথি। আন্দোলনের মাঠ থেকে এখন তিনি বিনোদন জগতের বাসিন্দা হিসেবে নিজেকে পরিচিত করছেন।
বর্তমানে প্রতিবাদী রূপ থেকে একটু শান্ত হওয়ার চেষ্টা করছেন সিঁথি। তবে তিনি নাকি বিয়ের পর একদমই ঠান্ডা ও লক্ষ্মী মেয়ে হয়ে যাবেন।সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের প্রেম-বিয়ে নিয়ে অনেক অজানা কথা বলেছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে রিলেশন স্ট্যাটাস জানতে চাইলে সিঁথি জানান, তিনি ভালোবাসতে ভালোবাসেন।
উপস্থাপিকার জিজ্ঞাসার একপর্যায়ে ভাইরাল কন্যা অকপটে স্বীকার করেন, এইচএসসি পড়ার সময় প্রথম প্রেমে পড়েন তিনি। তবে এ পর্যন্ত তিনটি প্রেম করেছেন, কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় প্রেম নিয়ে তেমন কিছু তার মনে না থাকলেও শেষ প্রেমের বিচ্ছেদ তাকে কষ্ট দিয়েছে।
এরপর প্রাক্তন আফসোস করে কিনা সে প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে সিঁথি বলেন, ‘না আমার প্রাক্তন আমাকে নিয়ে খুশি এবং প্রাউড। আমাকে ফোন কল করে স্বাধীনতার শুভেচ্ছা দিয়েছিল আগস্টের ৫ তারিখে।’
তিনি জানান, তিনজনের মধ্যে শেষ দুজনই নাকি তাকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তবে প্রথমজন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আরেকজন মরেটরে গেছে নয়তো বিদেশ চলে গেছে জানি না।’
আরও পড়ুন: নতুন চমক নিয়ে আসছেন রাশমিকা
সিঁথির সঙ্গে আবারও কেউ প্রেম করতে চাইলে তার যোগ্যতা কী হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ওই যে, “জাস্ট টেক মাই ইমোশনাল রেসপন্সিবলিটিস” এইটুকু থাকলেই হবে। আমার আর কিচ্ছু লাগবে না।’
বিয়ের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে ফারজানা সিঁথি বলেন, ‘৫ বছরের মধ্যেও নাই। আমি তো খুব হোমসিক মানুষ। আমার বাবা বলেন, আমি যে এত চঞ্চল বিয়ের পর আমি নাকি ঠান্ডা এবং লক্ষ্মী মেয়ে হয়ে যাবো।’
সবশেষে সিঁথি বলেন, ‘ভালোবাসা পাওয়ার জন্য নয়, হারিয়ে ফেলার জন্য আমি অনেক কেঁদেছি। তবে চাইনি সেটা আবার ফিরে আসুক।’
এসি/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন