ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোট সরকার গঠন করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে বড় দলগুলো। এমনকি এবারের নির্বাচনে বড় দুই দল নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি মিলিয়ে এক হলেও সরকার গঠন করতে পারছে না।
ফলে ছোট দল ও স্বতন্ত্র এমপিদের দলে ভিড়িয়ে সরকার গঠন করতে রীতিমতো ‘এমপি কেনাবেচার হাট’ বসেছে দেশটিতে। তবে ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান গহর আলি খান ঘোষণা দিয়েছেন এমপি কেনাবেচা বন্ধ করে দেবেন তিনি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, পিটিআইয়ের প্রার্থী ওয়াসিম কাদির ইমরান খানকে পিঠ দেখিয়ে নওয়াজের দল পিএমএল-এনে যোগ দিয়েছেন। তিনি পিটিআইয়ের সমর্থন নিয়ে লাহোরের ১২১ নম্বর আসন থেকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন।
আরো পড়ুন: রমজানে মসজিদে নববিতে প্রায় ৯০ লাখ ইফতারির প্রস্তুতি
এ বিষয়ে পিটিআইয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান গহর আলি খান জানান, ওয়াসিম কাদিরের পিএমএলএন-এ যোগদানের খবর পেয়েছেন তিনি। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন। তিনি বলেন, তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করলেও পিটিআইয়ের সমর্থন পেয়েছেন।
তিনি বলেন, অন্য সব প্রার্থী দলের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। আমাদের সাথে আছেন। আমাদের সঙ্গেই থাকবেন। আমরা আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম যে কিছু সদস্য দল পরিবর্তন পরিবর্তন করতে পারেন। তবে ওয়াসিম কাদিরের প্রতি আমাদের আস্থা ছিল। গহর খান বলেন, ওয়াসিম খুব কঠিন সময়ে দলের পাশে ছিলেন। এক দলের সমর্থনে জয়ী হয়ে অন্য দলের সঙ্গে জোট গড়া ভালো কোনো বিষয় নয়। সদস্যদের কাছ থেকে পদত্যাগ বা শপথ চাওয়া হয়নি। তবে সদস্যদের কেনাবেচা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ই ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের ভোট হয়েছে। ভোটগ্রহণের তিন দিন পর ২৬৫ আসনের মধ্যে অবশেষে ২৬৪ আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ফলাফলে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ৯৭ আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপরই পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ বা পিএমএল-এন ৭৬ আসনে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪ আসনে জয়ী হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ছোট দল পেয়েছে ৩৭টি আসন।
এইচআ/ আই.কে.জে/