ছবি: সংগৃহীত
হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে গাজায় আবার তীব্র হামলা চালাতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার (২৮শে অক্টোবর) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নিরাপত্তাবিষয়ক পরামর্শের পর প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীকে গাজায় অবিলম্বে শক্তিশালী হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’ তবে কখন ও কোথায় হামলা চালানো হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি। খবর আল জাজিরার।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী গত সোমবার (২৭শে অক্টোবর) একজন জিম্মির মরদেহ ফেরত দেয় হামাস। ইসরায়েলের অভিযোগ, ফেরত দেওয়া মরদেহটি দুই বছর আগে উদ্ধার করা একজন অপহৃত ব্যক্তির। তার মরদেহের অংশবিশেষ ইসরায়েলি বাহিনী ২০২৩ সালের শেষ দিকে উদ্ধার করেছিল। যে ১৩ জন জিম্মির মরদেহ এখনো হামাসের হাতে রয়েছে, তাদের কারও মরদেহ এটা নয়।
অপর দিকে হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেড ঘোষণা দিয়েছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করায় মঙ্গলবার সকালে পাওয়া একজন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর স্থগিত করছে তারা।
এক বিবৃতিতে কাসেম ব্রিগেড বলেছে, ইসরায়েলের যেকোনো ধরনের তৎপরতা জিম্মিদের মরদেহ খুঁজে বের করা, খনন করা এবং উদ্ধার কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করবে। ফলে মরদেহ খুঁজে বের করতে দেরি হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ৯ই অক্টোবর মিসরের পর্যটন শহর শারম আল-শেখে গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি সই হয়। পরদিন ১০ই অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
গাজায় ইসরায়েলের এই ভয়ানক হামলা শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর। সেদিন গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র সদস্যরা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে। সেই সঙ্গে ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে। এরপর গাজায় পূর্ণমাত্রায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। দুই বছর ধরে গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় ৬৮ হাজার ৫০০–এর বেশি মানুষ নিহত হন।
খবরটি শেয়ার করুন 
                      
                                                
                                             
                                         
                                                         
                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                             
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                            