ছবি: সংগৃহীত
তুরস্কে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) তুরস্ক সরকারের সঙ্গে অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। শনিবারের (১লা মার্চ) এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে সশস্ত্র এ সংগঠন এবং তুরস্কের সামরিক বাহিনীর ৪০ বছর ধরে চলা সংঘাতের ইতি ঘটতে যাচ্ছে। এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭শে ফেব্রুয়ারি) পিকেকের কারাবন্দী নেতা আবদুল্লাহ ওজালান তার সংগঠনের সদস্যদের প্রতি অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানান। পাশাপাশি সংগঠনটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা এবং তুর্কি সরকারের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের সংঘাতের ইতি টানারও আহ্বান জানান তিনি। এর দুইদিন পর তুরস্ক সরকারের সঙ্গে অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিল পিকেকে।
ইরাকের উত্তরাঞ্চল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে পিকেকে। অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়ে পিকেকের নির্বাহী কমিটি শুক্রবার (২৮শে ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘শান্তি ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের নেতা ওজালানের আহ্বান কার্যকরের উদ্দেশে আমরা অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিচ্ছি। ১লা মার্চ থেকে এ অস্ত্রবিরতি কার্যকর হবে।’
ওজালানের আহ্বান মেনে অস্ত্রবিরতির এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা তার আহ্বানের সঙ্গে একমত। আমরা অস্ত্রবিরতি মানবো ও কার্যকর করব। যদি আমাদের ওপর হামলা না হয়, তাহলে আমাদের যোদ্ধারা আর কোনো ধরনের সশস্ত্র তৎপরতা চালাবে না।’
তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পিকেকে’কে সন্ত্রাসী সংগঠনের তকমা দিয়েছে। তুরস্কের সাড়ে আট কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ২০ শতাংশ কুর্দি। এই কুর্দিদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে ১৯৮৪ সালে সশস্ত্র লড়াই শুরু করে পিকেকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে স্বাধীনতার দাবি ছেড়ে আরও বেশি স্বায়ত্তশাসন এবং সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত অধিকারের দাবির কথা বলছে সংগঠনটি।
১৯৯৯ সাল থেকে ইস্তাম্বুলের অদূরে একটি দ্বীপ এলাকার কারাগারে বন্দী আছেন পিকেকের প্রধান আবদুল্লাহ ওজালান। এরপর থেকে চার দশক ধরে চলা এই সংঘাত বন্ধে একাধিকার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপই আলোর মুখে দেখেনি। উল্লেখ্য, এই সংঘাতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন