ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকার নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘অর্থের বিনিময়ে তথ্য গোপন’ করার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তবে বিচারক তাকে কোনও শাস্তি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
মূলত রায়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হলেও তার ওপর কোনও রকম জেল-জরিমানার দণ্ড না থাকায় তিনি কোনও সমস্যা ছাড়াই হোয়াইট হাউসে ফিরে যেতে পারবেন।
শনিবার (১১ই জানুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও ভয়েস অব আমেরিকা।
সংবাদমাধ্যম বলছে, ট্রাম্পকে ৩৪টি গুরুতর অপরাধের অভিযোগে প্রায় দুই মাস ধরে বিচার করা হয় এবং প্রত্যেকটিতে বিচারকরা তাকে অপরাধী সাব্যস্ত করেন। তবে এরপরও ভোটারদের কাছ থেকে ট্রাম্প কোনও ধরনের ক্ষতির শিকার হননি এবং তারাই ভোট দিয়ে তাকে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচিত করেছেন।
নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের বিচারক হুয়ান এম মার্চান ৭৮ বছর বয়সী এই রিপাবলিকান নেতাকে চার বছর মেয়াদ পর্যন্ত কারাদণ্ড দিতে পারতেন। তা না করে তিনি বিতর্কিত সাংবিধানিক বিষয়গুলো এড়িয়ে কার্যত মামলাটির পরিসমাপ্তি টানেন। তবে ট্রাম্প হবেন এমন একজন প্রেসিডেন্ট যিনি অপরাধ করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত।
মার্চান বলেন, যে কোনও আসামির ক্ষেত্রে শাস্তি আরোপ করার আগে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করতে হয়। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প যে আইনি সুরক্ষা পাবেন, “সেই বিষয়টি অন্য সব বিষয়কে ছাড়িয়ে গেছে”।
অন্যদিকে ট্রাম্প তার ফ্লোরিডার বাড়ি থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন। আদালতের উদ্দেশে তিনি বলেন, তার অপরাধের বিচার ও শাস্তি “অত্যন্ত ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতা”। তিনি জোর দিয়ে দাবি করেন, তিনি কোনও অপরাধ করেননি।
ট্রাম্প বলেন, “এটি হচ্ছে রাজনৈতিক হয়রানি। আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য এটা করা হয়েছিল যাতে আমি নির্বাচনে হেরে যাই এবং দেখা গেল, সেই কৌশল কাজে লাগেনি।”
আরও পড়ুন: টিউলিপের বিকল্প খুঁজছে ব্রিটিশ সরকার
এসি/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন