ছবি : সংগৃহীত
অসুস্থ স্ত্রীকে সপ্তাহে তিন দিন হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় তার। কিন্তু বাধ সেধেছে বৃষ্টি। রাস্তায় জমে থাকা পানি পেরিয়ে কীভাবে হাসপাতালে পৌঁছবেন মুমূর্ষু রোগী? উপায়ান্তর না দেখে পঞ্চাশোর্ধ্ব স্ত্রীকে কোলে তুলে নিলেন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ। নিজে জল পেরিয়ে সেভাবেই স্ত্রীকে নিয়ে গেলেন হাসপাতাল পর্যন্ত।
এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কেন ওই ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ হুইলচেয়ার বা স্ট্রেচার পেলেন না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের গোন্ডার। ভিডিওতে দেখা গেছে, এক ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ তার স্ত্রীকে কোলে তুলে নিয়ে হাঁটছেন। রাস্তায় জল জমে রয়েছে। তাতে তার পা বেশ কিছুটা ডুবে গিয়েছে। তার উপর দিয়েই স্ত্রীকে কোলে নিয়ে তিনি হাঁটছেন। স্বামীকে আঁকড়ে আছেন স্ত্রী। এই ভিডিও নিয়ে চারদিকে চর্চা শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনাটি শনিবার (২৮শে সেপ্টেম্বর)। ওই ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধের স্ত্রীর ডায়ালাইসিসের চিকিৎসা চলছে। সপ্তাহে তিন দিন করে সরকারি হাসপাতালে তাকে নিয়ে যেতে হয়। শনিবার বৃষ্টির জলে তাকে নামতে দেননি প্রৌঢ়। চেষ্টা করেও তিনি হুইলচেয়ার বা স্ট্রেচারের ব্যবস্থা করতে পারেননি বলে অভিযোগ। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আরো পড়ুন : ১৪ মাস পর চাল রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলল ভারত
গোন্ডা মেডিক্যাল কলেজের মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আদিত্য বর্মা বলেন, ‘আমরা ওই ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধের সঙ্গে কথা বলেছি। জানতে পেরেছি, ডায়ালাইসিস চিকিৎসার জন্য তিনি স্ত্রীকে নিয়ে সপ্তাহে তিন দিন করে আমাদের হাসপাতালে আসেন। কখনওই হুইলচেয়ার বা স্ট্রেচার চাননি। আমরা অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। কেউ দোষী হলে তার শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’
উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলছে। একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। গোন্ডা তার মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়া, লখিমপুর খেরি, বহরাইচ, ফারুকাবাদ, বালিয়া, গোরখপুর, অযোধ্যার মতো জেলাও বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত।
সূত্র : আনন্দবাজার অনলাইন
এস/কেবি
