শুক্রবার, ৫ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** কলকাতায় পাঁচ জেএমবি সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড *** নির্বাচনে সহায়তা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্রিফ করল জাতিসংঘ *** কাফু–ক্যানিজিয়ার সঙ্গে ঢাকায় নৈশভোজের সুযোগ *** নতুন গণমাধ্যম নীতি নিয়ে আপত্তি, পেন্টাগনের বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক টাইমসের মামলা *** প্রধান উপদেষ্টাকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর ফোন, বন্যায় সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা *** খালেদা জিয়াকে নিয়ে নির্মিত সরকারি ডকুমেন্টারি প্রকাশ *** একটি মানবশিশুকে যেভাবে পাহারা দিলো চারটি কুকুর *** অনিবার্য কারণ ছাড়া বিএনপি নির্বাচনি মাঠে থাকবে: নজরুল ইসলাম খান *** নিবন্ধন পাচ্ছে ‘আমজনতার দল’, প্রতীকের বিষয়ে যা জানা গেল *** এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হতে পারে, জুবাইদা রহমান ঢাকায় আসছেন

এক দশক পর আবারো মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানের অনুসন্ধান শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, ৫ই ডিসেম্বর ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

এক দশকেরও বেশি সময় আগে ২৩৯ আরোহী নিয়ে নিখোঁজ হয় মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ-৩৭০। এর ধ্বংসাবশেষের খোঁজে আবারো অনুসন্ধান শুরু হতে চলেছে। খবর বিবিসির।

মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ৩০শে ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া এ অনুসন্ধান চলবে পরবর্তী ৫৫ দিন। এর আগে চলতি বছরের শুরুতে এ অনুসন্ধান শুরু হলেও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। তাই নতুন এ অনুসন্ধানকে এবার পরিবারগুলোর কাছে ‘সমাপ্তির পথ তৈরির প্রতিশ্রুতি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০১৪ সালের ৮ই মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে ২৩৯ আরোহীসহ নিখোঁজ হয় বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি। যাত্রা শুরুর এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে বিমানটির সঙ্গে কন্ট্রোল সেন্টারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

রাডারে দেখা যায়, বিমানটি মূল পথ থেকে সরে গিয়েছিল। কিন্তু পরে বিশাল আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান অভিযানেও এটির আর কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাই এটিকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম বড় বিমান-দুর্ঘটনা রহস্য হিসেবে দেখা হয়।

২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ২৬ দেশের ৬০টি জাহাজ ও ৫০টি বিমান নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হয়। পরে ২০১৮ সালে ওশান ইনফিনিটির আরেক অভিযান তিন মাস পর শেষ হলেও কোনো ফল মেলেনি।

নতুন এ অনুসন্ধান পরিচালনা করছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘ওশান ইনফিনিটি’। তারা বিমানটির সন্ধান না পেলে কোনো ফি নেবে না, এমন শর্তে কাজ করছে। তবে ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেলে ৭০ মিলিয়ন ডলার পাবে প্রতিষ্ঠানটি।

২০১৮ সালের এক তদন্তে বলা হয়েছিল, বিমানটির নিয়ন্ত্রণ সম্ভবত ইচ্ছাকৃতভাবে বদলে দেওয়া হয়েছিল। তবে কেন বা কীভাবে তা নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। 

তদন্তকারীরা তখনই জানিয়েছিলেন, ধ্বংসাবশেষ না পাওয়া পর্যন্ত সঠিক উত্তর জানা সম্ভব নয়। আর তথ্যের এ শূন্যতা থেকেই নানারকম ধারণা ও গুজব ছড়ায়। পাইলট ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানটির গতিপথ পরিবর্তন করেছিলেন বা বিমানটি ছিনতাই হয়েছিল। আর এ কারণেই আরোহীদের পরিবারের সদস্যেরা দীর্ঘদিন ধরে পুনরায় অনুসন্ধান শুরুর দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

জে.এস/

মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250