ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে গত মাসের শেষের দিকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোর টেলিফোনে কথা হয়েছে। তাদের মধ্যে ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ’ আলাপ হয়েছে। ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনকে বুধবার (৩রা ডিসেম্বর) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাদুরো এ কথা নিশ্চিত করেছেন। খবর আল জাজিরার।
সাক্ষাৎকারে মাদুরো বলেন, প্রায় ১০ দিন আগে ট্রাম্পের সঙ্গে তার ফোনে কথা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে নানা ধরনের খবর বের হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয় নিয়ে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এত দিন বিষয়টি নিয়ে কথা কেন বলেননি, সে প্রসঙ্গে মাদুরো বলেন, তিনি ‘মাইক্রোফোন কূটনীতি’ এড়িয়ে চলতে চেয়েছিলেন।
মাদুরো বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ছয় বছর দায়িত্ব পালনকালে আমি কূটনৈতিক সংযম শিখেছি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে গত কয়েক বছরে এই অভিজ্ঞতা আরও গাঢ় হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং আমাদের কমান্ডার চাভেজের (হুগো চাভেজ) কাছ থেকে শেখা অভিজ্ঞতার আলোকে আমি সংযমকে মূল্য দিই।’
ভেনেজুয়েলার প্রয়াত নেতা হুগো চাভেজের অধীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন মাদুরো।
মাদুরো বলেন, এই ফোনালাপ ভবিষ্যতে ‘পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে সংলাপের’ দরজা খুলে দিতে পারে—এমন সম্ভাবনাকে তিনি স্বাগত জানান। আর তার দেশ সব সময় শান্তির পক্ষে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তবে মাদুরো বলেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কথোপকথন নিয়ে আর বিস্তারিত কিছু বলতে চান না। কারণ, তার কাছে ‘সংযম’ ও ‘সম্মান’ বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
গত রোববার ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এমন এক সময়ে ট্রাম্প ও মাদুরো ফোনে কথা বললেন, যখন ওয়াশিংটন ও কারাকাস গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক সংকট পার করছে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন