ছবি : সংগৃহীত
কমবেশি সবারই জানা, ক্লান্তি দূর করতে কফির তুলনা হয় না। কফি শুধু মানুষকে চাঙ্গাই করে না। বিভিন্ন রোগব্যাধি থেকে নিস্তারও দেয়। জানলে অবাক হবেন এই শীতে রোজ গ্রিন কফি পান করলে চটজলদি কমবে ওজনও।
শীতের দিনে আমাদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিত কফি খান। তবে এবার থেকে আর সামান্য কফি খেয়ে কাজ হবে না। বরং খেতে হবে সবুজ কফি। এবার আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতেই পারে, সবুজ কফি আবার কী? তা খেলে কী কী উপকার পাবেন? এইসব বিষয় নিয়ে বিশদে জানতে চাইলে ঝটপট চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফেলুন।
সাধারণত কফিকে রোস্ট করা হয়। তাই কফির রং সবুজ থেকে বাদামিতে রূপান্তরিত হয়। তবে গ্রিন কফি তৈরির সময় কফি বিনসকে রোস্ট করা হয় না। ফলে কফির রং অপরিবর্তীত থাকে। এমনকী এর উপকারিতাও সাধারণ কফির তুলনায় বহুগুণে বেশি। তাই আর দেরি না করে ঝটপট গ্রিন কফির একাধিক উপকার সম্পর্কে বিশদে জেনে নিন।
তরতরিয়ে কমবে ওজন
ওজনের কাঁটা ঊর্ধ্বমুখী হলে ডায়াবেটিস, প্রেশার, কোলেস্টেরল এবং থাইরয়েডের মতো জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে! তাই যেভাবেই হোক ওজন কমাতে হবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে সবুজ কফি। কারণ এই পানীয়ে রয়েছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড নামক একটি উপাদান যা কিনা দেহে ফ্যাটের বহর কমানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে নিয়মিত এই পানীয়ের কাপে চুমুক দেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
আরো পড়ুন : শীতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে খাবেন যে খাবার
নিয়ন্ত্রণে থাকবে ব্লাড সুগার
ডায়াবেটিস একটি ঘাতক অসুখ। এই রোগকে ঠিক সময়ে বশে না আনলে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, নিউরোপ্যাথি থেকে শুরু করে একাধিক জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই সুগারকে বশে রাখতে হবে। আর এই কাজে আপনার ব্রহ্মাস্ত্র হতে পারে গ্রিন কফি। কারণ এই পানীয়ে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। আর দেহে ইনসুলিন হরমোন নিজের কাজটা ঠিকমতো করলে যে অনায়াসে ডায়াবেটিসকে বশে আনতে পারবেন, তা তো বলাই বাহুল্য!
ব্লাড প্রেশারের সেরা ঔষধ
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত এই পানীয়ের কাপে চুমুক দিলে ব্লাড প্রেশারকে অনায়াসে বশে রাখা সম্ভব হবে। এমনকী রক্তনালীকে প্রসারিত করার কাজেও এর জুড়ি মেলা ভার। তাই হাই ব্লাড প্রেশারের রোগীদের ডায়েটে গ্রিন কফি থাকা মাস্ট। এই কাজটা করলেই যেমন উচ্চ রক্তচাপকে কন্ট্রোলে রাখতে পারবেন, ঠিক তেমনই ফিরবে হার্টের হাল।
ডিটক্স ড্রিংক
এই পানীয়ে রয়েছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। আর এই দুই উপাদান শরীর থেকে ক্ষতিকর সব উপাদান বের করে দেওয়ার কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকী দেহের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কাটানোর কাজেও এই পানীয়ের জুড়ি মেলা ভার। আর দেহে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমলে যে অনায়াসে একাধিক ক্রনিক রোগের ফাঁদ এড়িয়ে যেতে পারবেন, তা তো বলাই বাহুল্য! তাই সুস্থ থাকতে আজ থেকেই এই পানীয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
চাঙ্গা থাকবে মুড
এই পানীয় হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান মস্তিষ্কে ডোপামিন বা হ্যাপি হরমোনের ক্ষরণ বাড়ানোর কাজে একাই একশো। আর ব্রেনে ডোপামিনের উপস্থিতি বাড়লে যে আপনি অনায়াসে হাসি-খুশি জীবন কাটাতে পারবেন, তা তো বলাই বাহুল্য! তাই আপনার রোজের ডায়েটে এইসব পানীয়কে জায়গা করে দিতে ভুলবেন না যেন!
এস/ আই. কে. জে/